বছর শেষে একধাক্কায় অনেকটাই কমল ভোজ্য তোলোর দাম। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে ভোজ্য তেলের দাম কমতে চলেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পাণ্ডে রাজ্য সরকারগুলিকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। যাতে এমআরপির (ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস) থেকে কোনও ভাবেই বেশি দামে তেল বিক্রি না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছিল সরকার। পরিশোধিত পাম তেলের উপর মূল শুল্ক ২০২২ সালের মার্চের শেষ পর্যন্ত ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য, ভোজ্য তেলের উপর থেকে শুল্ক কমিয়েছে রাজ্য। এর জেরে তেলের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমেছে বাজারে। আদানি, ইমামির মতো সংস্থাগুলিও এমআরপি কমানোর ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি কালোবাজারি রোখা সম্ভব হলে সাধারণ মানুষ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে ভোজ্য তেল কিনতে পারবেন। এর আগে সোমবারই ভোজ্যতেল উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বলে যে আদানি উইলমার এবং রুচি সোয়া সহ প্রধান ভোজ্য তেল কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে তাদের পণ্যের এমআরপি কমিয়েছে। এই আবহে তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, তারা যেন তেলের বোতল অথবা প্যাকেটের গায়ে পরিবর্তিত সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য উল্লেখ করে।
এর আগে সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছিল, আদানি উইলমার (ফরচুন ব্র্যান্ড), রুচি সোয়া (মহাকোষ, সানরিচ, রুচি গোল্ড এবং নিউট্রেলা ব্র্যান্ড), ইমামি (স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ব্র্যান্ড), বুঞ্জ (ডালডা, গগন, চম্বল ব্র্যান্ড), ফ্রিগোরিফিকো আল্লানা (সানি ব্র্যান্ড) এবং গোকুল অ্যাগ্রোও (ভিটালাইফ, মাহেক এবং জাইকা ব্র্যান্ড) এবং জেমিনি (ফ্রিডম সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্র্যান্ড) ইত্যাদি সংস্থাগুলি ভোজ্যতেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।