কয়লাপাচার কাণ্ডে ইডির মুখোমুখি হলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। পরপর তিনবার দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল মলয় ঘটককে। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় নোটিশে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লি যান মলয়। আইনমন্ত্রীর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরেই চলে মলয় ঘটকের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। জানা গিয়েছে মোট নয় ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করা হয় মলয় ঘটককে।
উল্লেখ্য, এর আগে দু’বার কয়লাপাচার কাণ্ডে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, নানা কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন মলয় ঘটক। ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যে কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কয়লাপাচারে যোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও। এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক নথি ইডি-র হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই সূত্র ধরেই গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও। এই যোগসূত্র কতটা সঠিক, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মলয়কে জেরা করাটা জরুরি। আর সেই কারণেই তাঁকে বারবার দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার কাণ্ডে ইডির প্রশ্নের জবাব দিতে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একই ঘটনায় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হলেও সন্তান ছোট হওয়ায় দিল্লি যাননি তিনি। বদলে কলকাতাতেই যাতে তাঁকে জেরা করা হয়, সেই আবেদন করেছেন রুজিরা। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পেরেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তারা রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীদের পিছনে ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে।