প্রবেশ লামা
কোবরা কমান্ডো। যাদের নাম শুনলেই আতঙ্কবাদীদের গলা শুকিয়ে যায়। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সেই কোবরা কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ এবার শেষ হল। কাশ্মীরের জঙ্গলে, দুর্গম এলাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তারা। এবার কাশ্মীরের কুপওয়ারাতে মোতায়েন করা হচ্ছে তাদের।
CoBRA অর্থাৎ কমান্ডো ব্যাটেলিয়নস ফর রেসোলিউট অ্য়াকশন। ২০০৯ সালে এটা তৈরি করা হয়েছিল। মূলত মাওবাদীদের দমন করতে তৈরি হয়েছিল এই বাহিনী। এবার মধ্য ও পূর্ব ভারত থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
সূত্রের খবর, কোবরার কিছু কোম্পানিতে ঝাড়খণ্ড আর বিহার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। কারণ সেখানে নকশালদের দাপট কিছুটা কমেছে। মাস ছয়েক আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। এবার তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তাঁদের মোতায়েন করা হচ্ছে কুপওয়ারাতে।
বর্তমানে সিআরপিএফ কাজ করছে কাশ্মীরে। জঙ্গি মোকাবিলায় বড় ভূমিকা তাদের। তারা কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনার সঙ্গে একযোগে কাজ করেন। তবে এবার কাশ্মীরে জঙ্গি মোকাবিলায় নামানো হচ্ছে কোবরা কমান্ডোদের। জঙ্গলে কীভাবে কাজ করতে হয় সেব্যাপারে কঠোরতম প্রশিক্ষণ তাঁদের রয়েছে। দিনের পর দিন জঙ্গলে থেকেছেন তাঁরা। জঙ্গলের কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কীভাবে জঙ্গি ঘাঁটিকে উড়িয়ে দিতে হয় সেটা বিলক্ষণ জানেন তাঁরা। সেই কোবরা কমান্ডোদের এবার নামানো হচ্ছে কাশ্মীরে। তাঁরা জঙ্গল যোদ্ধা বলেও পরিচিত। এমনকী যেখানে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট তুলে দেওয়া হচ্ছে সেই সমস্ত জায়গায় কোবরা বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।
এক আধিকারিকের কথায়, একটা সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নকশালদের দাপট শুরু হয়েছিল। তখনই তৈরি হয় কোবরা বাহিনী।ধাপে ধাপে নকশালদের দমন করতে সমর্থ হয় কোবরা বাহিনী। মূলত পাহাড়ি ও জঙ্গলের এলাকায় তারা অভিযানে একেবারে দক্ষ। সেক্ষেত্রে কাশ্মীরে ও উত্তর পূর্বেও সেই ধরনের ভূ প্রকৃতি রয়েছে। সেকারণে এবার সেখানে তাঁদের মোতায়েনের পরিকল্পনা।
কোবরা এমন একটা বাহিনী যারা জঙ্গলের ৭২ কিমি এলাকা নিজের আয়ত্তে এনে ফেলে। এরপর তারা মিশন শেষ করে আবার বেসে ফিরে আসে। হেলিকপ্টার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে জঙ্গলে। কর্ণাটকের জঙ্গল ক্যাম্পেও তারা প্রশিক্ষিত।
মূলত সিআরপিএফের মধ্য়ে বাছাই করা জওয়ানরা আসেন কোবরা। তাঁদের কঠোর কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এবার সেই দক্ষ কোবরা কমান্ডোর অপারেশনে নামবেন কাশ্মীরে।