সামনেই রয়েছে একাধিক রাজ্যে ভোট। তার আগে, কংগ্রেস বনাম বিজেপি সংঘাত তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর মতো তাবড় নেতাদের গতিবিধি ক্রমাগতই নজরে রয়েছে শাসকদলের। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধীর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই ছবিটি উজবেকিস্তানের। সেখানে দেখা যায় ছবিতে সবুজ রঙের টি শার্ট পরে থাকতে দেখা যায় রাহুলকে। সেই ছবিতে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে এক মহিলাকে দেখা যায়। সেই মহিলা কে? এই প্রশ্ন নিয়ে টুইটারে চর্চা শুরু হতেই জবাব দেয় কংগ্রেস।
এদিকে, রাহুলের এই ছবি নিয়ে বিতর্কের পারদ চড়তেই কংগ্রেসের তরফে ছবি নিয়ে আসে জবাব। কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এক এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন বিজেপি ও সংঘ পরিবারকে টার্গেট করে, তিনি লেখেন ‘আমার দয়া হয় আপনাদের প্রতি। আপনাদের না কোনও বন্ধু আছে, না আপনাদের সঙ্গে কেউ ঘুরতে ভালোবাসেন।’ সেখানেই সুপ্রিয়া শ্রীনাতে লেখেন, ‘যে ভদ্রলোককে এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি রাহুল গান্ধীর ছোটবেলার বন্দু মিস্টার অমিতাভ দুবে। আর ভদ্রমহিলা তাঁর স্ত্রী, অমূল্য।’ এই অবস্থান জানিয়ে, কার্যত কংগ্রেস এই ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। জানা গিয়েছে ছবিটি উজবেকিস্তানের। সদ্যই রাহুল গান্ধী সেখানে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাঁর অনুপস্থিতিও কার্যত রাজনৈতিক মহলের নজরে থাকে। এদিকে, রাহুলের এই ছবি ঘিরে প্রশ্ন আসে বিজেপির তরফেও। বিজেপির কর্ণাটকের ইউনিট এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যারপরই কার্যত কংগ্রেস জবাব দেয়। সুপ্রিয়া শ্রীনাতের বক্তব্যে জবাবের সঙ্গেই ছিল বিজেপি ও গেরুয়া শিবিরের প্রতি প্রবল ক্ষোভ।
কে অমিত দুবে?
উল্লেখ্য, ছবিতে যাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, তিনি যে রাহুলের ছোটবেলার বন্ধু অমিতাভ দুবে। তিনি কর্মসূত্রে ২০০৭ সালে টিএস ল্যাম্বার্ডে যোগ দেন। রাজনৈতিক ও সরকারি ক্ষেত্রে ছিল তাঁদের টিমের নজর। এর আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসাবে কাজ করতেন অমিতাভ। তার আগে তিনি ব্যবসা সম্পর্কিত সাংবাদিক ছিলেন। তিনি এককালে কর্মসূত্রে বিজনেস স্ট্যানার্ড ও বিজনেজ ইন্ডিয়া টেলিভিশনের সাংবাদিক ছিলেন।