নরম এবং গোলাপি ফেয়ারি ফ্লস, কেউ বলেন কটন ক্যান্ডি, কারও কথায় বুড়ি মায়ের চুল। চিনির সিরাপ দিয়ে তৈরি হয় এটি। মেলায় কিংবা বাজারে বেরিয়ে সস্তার এই খাবার তো মুখশুদ্ধির সমান। বিশেষত ছোটদের এই খাবার বেশ পছন্দের কিন্তু গবেষকরা এই কটন ক্যান্ডির বিষয়ে যা বলছেন, তা বেশ ভয়ঙ্কর। এটি নাকি ব্যাপক ক্ষতি করে শরীরের। তাই খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার সমস্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টি পর্যালোচনা করে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট, ২০০৬ এর অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই আশংকাতেই এদিন রাজ্যে কটন ক্যান্ডির বিক্রি নিষিদ্ধও করে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। এর আগে আগে তাদের পড়শি পুদুচেরিও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সম্প্রতি, পুদুচেরির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কর্মকর্তারা তদন্তের সময় কটন ক্যান্ডিতে ক্ষতিকারক (বিষাক্ত) রাসায়নিক খুঁজে পেয়েছেন। এর পরেই, পুদুচেরি প্রশাসন এই ক্যান্ডি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার কেন এটি নিষিদ্ধ করেছে এবং পরামর্শ জারি করেছে তা জেনে নিন।
বলা হচ্ছে, ক্যানসার হতে পারে কটন ক্যান্ডি খেলে। তুলা ক্যান্ডি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জানাতে পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সুন্দররাজন সম্প্রতি তাঁর অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। এই ভিডিয়োতে তিনি জনসাধারণের কাছে ছোটদের জন্য কটন ক্যান্ডি না কেনার জন্য আবেদন করেছেন, কারণ এতে পাওয়া ক্ষতিকর রাসায়নিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জানা গিয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরা এই ক্যান্ডি পরীক্ষা করে রোডামাইন-বি নামক একটি বিষাক্ত পদার্থের সন্ধান পেয়েছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেছেন, শিশুদের এমন খাবার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে, যে খাবারে রঙের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আর এই রাসায়নিকই অনেক বিপজ্জনক।
একই ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকারও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যেভাবে কেমিক্যাল ডাই রোডোমাইন বি এই কটন ক্যান্ডিতে যুক্ত করা হয়, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই রীতিমত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও অনুষ্ঠানে রোডোমাইন বি যুক্ত খাবার যেন না দেওয়া হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে যাতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আগামী দিনে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির দেখাদেখি অন্য রাজ্যও এরকম কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।