জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরুর পর থেকেই স্পষ্ট ছিল, লকডাউনের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে। শুধু অপেক্ষার ছিল, লকডাউন কতদিন বাড়বে। শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র জানালেন আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি থাকবে।
আরও পড়ুন : Covid-19-সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাভ হয়েছে, ৩ মে অবধি ঘরে থাকুন: এক নজরে মোদীর বার্তা
মোদী জানান, লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু তা দেশবাসীর জীবনের কাছে তুচ্ছ। সেজন্যই লকডাউন বাড়ানোর পথে হাঁটল কেন্দ্র। মোদীর কথায়, 'সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের কারণে দেশের উপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষত আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু দেশবাসীর জীবনের কাছে তা কিছুই নয়।'
আরও পড়ুন : রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ খাচ্ছে কুকুর, বাটিতে তুলে রাখছেন ব্যক্তি, ভাইরাল ভিডিয়ো
জল্পনামতো অবশ্য বর্ধিত লকডাউনের প্রথম দিন থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের দিকে গেলেন না মোদী। বরং আরও এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলার ঘোষণা করেন। সেই সময় দেশের প্রতিটি প্রান্তে কোনও নজরদারি চালানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, সেখানে ঠিকমতো নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখে লকডাউনের শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মোদী বলেন, '২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের প্রতিটি জেলা, এলাকা, রাজ্যে কঠোর নজরদারি চালানো হবে। দেখা হবে, কতটা লকডাউনের নিয়মের পালন করা হচ্ছে। যে রাজ্যগুলি হটস্পট বাড়তে দেবে না, তাদের কিছু জরুরি কাজ করতে দেওয়া হবে। তবে সেজন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকবে।' তবে শিথিল করার পর নিয়মভঙ্গ হলে সেই ছাড়পত্র প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন : মুম্বই থেকে হেঁটে বারাণসী পৌঁছলেও যুবককে বাড়িতে ঢুকতে দিল না পরিবার
পাশাপাশি, লকডাউনের সময় দেশবাসীকে সাতটি পরামর্শ দেন মোদী। তিনি বলেন, 'নিজের বাড়ির বয়স্ক মানুষদের খেয়াল রাখুন। যাঁরা আগে থেকে অসুস্থ তাঁদের উপর নজর রাখতে হবে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন করুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। নিজের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের দেওয়া পরামর্শ অবশ্যই মানুন। আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। গরীব পরিবারদের সাহায্য করুন। আপনি ব্যবসায়ী হলে কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করবেন না। স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের করোনা যোদ্ধাদের সম্মান করুন।'
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: বর্ধিত লকডাউনের সময় কী করবেন, সাত পরামর্শ দিলেন মোদী
প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের সময় দেশের অংসগঠিত ও দিনমজুরদের যেভাবে সমস্যার পড়তে হয়েছে, তা নিয়েও মঙ্গলবার বার্তা দিলেন মোদী। তিনি বলেন, 'নতুন নির্দেশিকা তৈরির ক্ষেত্রে গরীব শ্রমিক ও দিনমজুরদের স্বার্থের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। রবিশস্যের চাষও চলছে। চাষিরা যতটা কম সম্ভব সমস্যার মুখে পড়েন, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে।'