ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা খোলাবাজারেও বিক্রি করতে পারবে ভ্যাকসিন। সোমবার এই নতুন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্য সরকার। প্রস্তুতকারক সংস্থা উৎপাদনের ৫০ শতাংশ খোলাবাজারে ও রাজ্যকে বিক্রি করতে পারবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন।বৈঠকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।কীভাবে এই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যায়, সেবিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান,‘গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে যাতে কম সময়ে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়।তবে এবারে কীভাবে এই ভ্যাকসিনকে কেনা হবে, দাম কত হবে, কীভাবে এই ভ্যাকসিনকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে তা নতুন করে সরকার ভাবছে।সাধারণ মানুষের কাছে যাতে ভ্যাকসিন আরো সহজলভ্য হয়ে ওঠে, সরকার সেই পরিকল্পনাও নিয়েছে।’ এদিন সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে খোলা বাজারেও পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন।শুধু তাই নয়, আগামী ১ মে–এর পর থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।|
উল্লেখ্য, করোনার যে নতুন প্রজাতি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এখন কম বয়সিরা বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।ফলে এদিনের সরকারের সিদ্ধান্ত যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।