নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন পুষ্পকুমার দাহাল তথা 'প্রচণ্ড'। যদিও তা ভারত-নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ অতীতে ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন প্রচণ্ড এবং কেপি শর্মা ওলি।
সাধারণ নির্বাচনে কোনও দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বে পাঁচটি দলের জোট সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু নাটকীয়ভাবে সেই জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন প্রাক্তন গেরিলা নেতা প্রচণ্ড। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার জন্য হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের যে কোনও সদস্য দাবি জানাতে পারেন। সংবিধানের ৭৬ নম্বর ধারার দুই নম্বর উপ-ধারার আওতায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় শ্রমিকদের নিশানা করে নেপালিদের পাথরবৃষ্টি, এবার বড় আশ্বাস দিল নেপাল
সেইমতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছেন প্রাক্তন গেরিলা নেতা প্রচণ্ড। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৭৫ সদস্য-বিশিষ্ট হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৬৮ জন সাংসদ সমর্থন করেছেন। তার ফলে দুই-তৃতীয়াংশের শর্তপূরণ হয়েছে। রবিবার নেপালের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ৬৮ বছরের প্রাক্তন কমিউনিস্ট বিদ্রোহী নেতা প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল চারটেয় শপথগ্রহণ করবেন নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী।
১) নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের (মাওবাদী সেন্টার) নেতা বর্শামান পান জানান, আড়াই বছর নয়া সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রচণ্ড। আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকবে সিপিএন-ইউএমএল।
২) নেপালি কংগ্রেস পার্টি মূল বিরোধী দল হতে চলেছে। ৮৯ আসন আছে নেপালি কংগ্রেসের পার্টির হাতে।
৩) ২০০৮ সাল থেকে নেপালে ১০ বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যে সময় হিমালয়-পরিবেষ্টিত দেশে ২৩৯ সালের রাজশাসনে ইতি পড়েছিল।