পশ্চিম বিহারের রোহতাস জেলার ঘটনা। স্থানীয় স্কুলের ক্লার্ক অভিমুন্য কুমার। গত ৩০শে এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এদিকে তাঁর দেহ কোভিড প্রটোকল মেনে দেহরিনগর পরিষদের স্টাফরা সৎকার করেন।পরিবারের লোকজন তাঁর দেহ পাননি। এদিকে মৃত্যুর কয়েকদিন পর মৃতের স্ত্রী দেখেন তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরেও বিপুল অঙ্কের টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ছায়াদেবী দেখেন, স্বামীর অ্য়াকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই টাকা তুলল কে? এরপর ১১ই জুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ সুপার আশিস ভারতী একটি স্পেশাল পুলিশ টিম তৈরি করেন। তদন্তে নেমে নগর পরিষদের সৎকার টিমের অন্য়তম সদস্য বিশাল ডোমকে পুলিশ আটক করে। পুলিশ বিশালকে জেরা শুরু করে। এরপরই বিশাল স্বীকার করে যে মৃতদেহ দাহ করার আগে এটিএম কার্ডটি বের করে টাকা তোলা হয়েছিল। পাশাপাশি এই অপরাধের ঘটনায় নিযুক্ত তার এক সঙ্গীর কথাও সে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। অবৈধ উপায়ে তুলে নেওয়া অর্থ উদ্ধারের ব্যাপারেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এটিএমের পিন নম্বরও অবৈধ উপায়ে জোগাড় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারে নিয়োজিতদের একাংশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।