আম আদমি পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থক হিসেবে পরিচিত সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানির গলায় ‘অন্য সুর’। সম্প্রতি ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আর্জি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন সঙ্গীত পরিচালক। কারও নাম না নিয়েই টুইট বার্তায় বিশাল লেখেন, ‘ভারতের সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। তাই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ধর্মের কোনও জায়গা থাকার কথা নয়। স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, সরকারের কোনও কাজে যাঁরা ধর্ম টেনে আনেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই আমার। জয় হিন্দ।’
এদিকে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আম আদমি পার্টির টিকিটে একদা প্রার্থী হওয়া অভিনেতা গুল পনাগও। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘এটি শেষের উপায় হোক বা নিজেকেই শেষ করে দেওয়ার জন্য হোক - ধর্মকে সবকিছুর মধ্যে নিয়ে আসা হয়। এখন সবাই এটা নিয়ে খেলবে। আর এই কাজ শুধু রাজনীতিবিদরা করবেন, এমনটা নয়! যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা বৃথাই সংবিধানকে ডাকতে পারেন।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি রাখার দাবি তোলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, আপাতত মহাত্মা গান্ধীর ছবি দেওয়া যে নোট আছে, তা একদিকে রাখা হোক। অপরদিকে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি দিয়ে নোট ছাপানো হোক ভারতে। তাহলে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। দীপাবলির প্রার্থনার সময় কেজরি দাবি করেন, ভারতীয় নোটে যদি লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি থাকে, তাহলে ভারতীয় অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। এই আর্জি জানিয়ে শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান কেজরি। কেজরি জানান, সব পুরনো নোট বাতিল করে দেওয়ার দাবি করছেন না। বরং লক্ষ্মী এবং গণেশের ছবি দিয়ে নয়া নোট ছাপানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ইন্দোনেশিয়ার ৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম। মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশের কমও হিন্দু মানুষ থাকেন ইন্দোনেশিয়ায়। তারপরও ইন্দোনেশিয়ার নোটে গণেশের ছবি আছে। কেজরি বলেন, ‘যদি ইন্দোনেশিয়া করতে পারে, তাহলে আমরাও করতে পারি। যদি ইন্দোনেশিয়া গণেশজি’র ছবি ব্যবহার করতে পারে, তাহলে এখানে সেই কাজ করলে কারও আপত্তি তোলা উচিত নয়।'