গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসের ম্যানেজার লালমণি তিওয়ারি শুক্রবার জানিয়েছেন, ভগবান রামের জীবনভিত্তিক পবিত্র গ্রন্থ রামচরিতমানসের চাহিদা গত কয়েকদিনে বহুগুণ বেড়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অনুষ্ঠান যত এগিয়ে আসছে তত চাহিদা বাড়ছে। সংসস্থাটির এক ট্রাস্টির মতে, রামচরিতমানসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে মজুদ ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করেছে। যাইহোক, সংস্থাটি জানিয়েছে সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর প্রচেষ্টা চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেদিন থেকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেদিন থেকেই আমাদের বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের সমস্ত শাখা আমাদের কাছে একই বই চেয়ে যোগাযোগ করছে। রামচরিতমানস, হনুমান চলিসা এবং সুন্দর কাণ্ড পড়তে মানুষ আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখানে সীমিত জায়গা এবং পরিকাঠামো রয়েছে তাই আমরা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হয়তো সক্ষম হব না। সম্প্রতি হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে গেছে,’ সাংবাদসংস্থা এএনআইকে একথা জানিয়েছেন লালমণি তিওয়ারি।
পড়ুন। ৪ শঙ্করাচার্যের অনুপস্থিতিতে হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন! 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে সমর্থন ২ জনের, তুঙ্গে চর্চা
প্রকাশনা সংস্থার ট্রাস্টি দেবীদয়াল আগরওয়াল আরও বলেন, গীতা প্রেসের প্রচুর পরিমাণে অনুলিপি তৈরির জন্য আরও জায়গা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে, চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়েছে, এবং বর্তমান সেটআপে চাহিদা পূরণের জন্য সরবরাহ অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। সরবরাহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য গীতা প্রেসের একটি বিশাল এলাকা প্রয়োজন।’
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অযোধ্যায় পবিত্র অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী ১১ দিনের একটি অনুষ্ঠান পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে এক্স-এ পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায় মোদী বলেছিলেন যে এই পবিত্রতা এমন অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে যা তিনি আগে কখনও অনুভব করেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে আমিও এই শুভ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হব। ভগবান আমাকে পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় ভারতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি যন্ত্র বানিয়েছেন... আমি আজ থেকে ১১ দিনের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু করছি। আমি সকল মানুষের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।’