২০০২ সালে গুজরাটে গণধর্ষণের ঘটনায় ১১জনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেছেন নির্যাতিতা বিলকিস বানো। মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন তিনি বার বার করেছেন।এনিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, গতকালই কেসটা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারপর আবার এদিন এনিয়ে উল্লেখ করার কোনও প্রয়োজন নেই।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। একই জিনিস বার বার উল্লেখ করবেন না। খুব বিরক্তিকর।
এদিকে বানোর পক্ষে অ্য়াডভোকেট শোভা গুপ্তা জানিয়েছেন, পিটিশনটা গতকাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল কিন্তু সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি জবাবে জানিয়েছেন, তাতে কী হয়েছে ! এই ব্য়াপারটি বার বার উল্লেখ করবেন না। এটি তালিকাভুক্ত করা হবে। গতকাল রিভিউ পিটিশন দেওয়া হয়েছিল।
২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। বিলকিসকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর পরিবারের একাধিকজনকে খুনও করা হয়। সব মিলিয়ে বিলকিসের তিন বছরের কন্যা সহ ১২জনকে খুন করা হয়।
সেই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ১১জনকে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ফের সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন বিলকিস বানো। সেই মামলা যাতে ফের সুপ্রিম কোর্টে ওঠে সেকারণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিলকিস।
গত ১৩ মে সুপ্রিম কোর্ট, নিয়ম মেনে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি কার্যত অনুমোদন করেছিল। পরে ১১জন সাজাপ্রাপ্ত মুক্তি পান। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাট সরকার তাদের মুক্তির ব্য়বস্থা করেছিল। তারা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
এরপরই এই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিলকিস বানো। ১৩ মের সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বানো আলাদা করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন।