শনিবার অরুণাচল প্রদেশের প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডোনি পোলো বিমানবন্দরটি ইটানগর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে গড়ে তোলা হয়েছে।
গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর কী?
সম্পূর্ণ নতুন (অনুন্নত) কোনও স্থানে একেবারে গোড়া থেকে গড়ে তোলা হলে, তেমন বিমানবন্দরকে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর বলা হয়। সাধারণ বিমাবন্দরের ক্ষেত্রে, সেগুলি জনবহুল শহরের কাছে বহু বছর ধরে ধাপে ধাপে গড়ে ওঠে। ফলে তার তুলনায় এই ধরনের বিমান তৈরির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর দিলীপ সজনানী বলেন, এই বিমানবন্দর যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে এই অঞ্চলে বাণিজ্য ও পর্যটনের বৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরটি তৈরি করতে ৬৪০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। প্রায় ৬৯০ একর এলাকা জুড়ে এটি বিস্তৃত। সরকারি বিবৃতি অনুসারে এতে মোট রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৩০০ মিটার। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমানবন্দর সমস্ত আবহাওয়াতেই বিমান চলাচলের জন্য উপযুক্ত।
বিমানবন্দর টার্মিনালটি একটি সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক বিল্ডিং হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এর থিম ছিল সবুজ শক্তির প্রসার। এর অন্দরসজ্জার মাধ্যমে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং সম্পদের বিষয়ে সচেতনতার প্রচার করা হবে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল প্রায় ৪,১০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি তৈরি করতে প্রায় ৯৫৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই বিমাবন্দরের মাধ্যমে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ জন যাত্রী উড়ান ধরতে পারবেন।
ডোনি পোলো অরুণাচল প্রদেশের চতুর্থ বিমানবন্দর। উত্তর-পূর্ব ভারতের ষোড়শ বিমানবন্দর এটি। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, '২০১৪ সাল থেকে মোট সাতটি বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে।' ২০১৯ সালে এই বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যের আদিবাসী রীতি অনুযায়ী সূর্য ও চাঁদকে 'ডোনি পোলো' বলা হয়। সেই নামেই এই বিমানবন্দরের নামকরণ।