Drone 'attack' on Farmers: ড্রোনে করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হল আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর, রণক্ষেত্র শম্ভু সীমান্ত

কিষাণ মজদুর মোর্চার কোঅর্ডিনেটর সারওয়ান সিং পান্ধের এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, 'কৃতৃপক্ষ বা প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছি না আমরা। আমরা এটাও বলছি না যে আমরা রাস্তা অবরোধ করব। সরকার নিজেরাই বিগত ২-৩ দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।'

পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের মিছিলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ  (PTI)

হরিয়ানার সম্ভু সীমান্ত পরিণত হল রণক্ষেত্রে। কৃষকদের দিল্লি চলো ২.০ ঘিরে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করা থেকে রুখতে রাস্তায় কনক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করেছে পুলিশ। আর এরই মাঝে কৃষকরা পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমানায় পৌঁছলে ড্রোনে করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় হরিয়ানা পুলিশ। এদিকে আম আদমি পার্টি কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে। দিল্লির আপ মন্ত্রী কৈলাশ গেহলট বলেন, 'কৃষকরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছে। দিল্লি পুলিশ আমাদের কাছে আবেদন করেছিল যাতে বাওয়ানা স্টেডিয়ামকে আমরা অস্থায়ী ভাবে কারাগারে পরিণত করতে দিই। আমরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। দেশের সব নাগরিকেরই শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন বা বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার রয়েছে।' (

এই আবহে পঞ্জাব থেকে দিল্লিমুখী কৃষকদের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এখন এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব হরিয়ানার কৃষকদের। কিষাণ মজদুর মোর্চার কোঅর্ডিনেটর সারওয়ান সিং পান্ধের এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, 'কৃতৃপক্ষ বা প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছি না আমরা। আমরা এটাও বলছি না যে আমরা রাস্তা অবরোধ করব। সরকার নিজেরাই বিগত ২-৩ দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।' এদিকে হরিয়ানা সরকারকে তোপ দেগে আন্দোলনরত কৃষকরা বলে, হরিয়ানাকে কাশ্মীরে পরিণত করা হয়েছে। (

এদিকে কিষাণ মজদুর মোর্চা বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও তোপ দেগেছে। তারা বলে, 'কংগ্রেস আমাদের সমর্থন করছে না। বিজেপি যতটা দোষী, কংগ্রেসকেও আমরা ততটাই দোষী মনে করি। এই সব আইন কংগ্রেস জমানাতেই এসেছিল। আমরা কোনও দলের পক্ষেই নই। আমরা শুধু কৃষকদের কথা বলছি। আমরা বাম, সিপিআই, সিপিএম-এর পক্ষে নই। তারা ২০টি ভুল করেছিল নিজেদের সময়ে। পশ্চিমবঙ্গের থেকে কী ধরনের আন্দোলন গড়ে উঠেছিল? আমরা শুধু বলতে চাই, এটা শুধু আমাদের নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইস্যু।'

এদিকে এই আন্দোলনের মাঝে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বলা হয়েছে, 'আন্দোলনরত কৃষকদের আহ্বান জানিয়ে বৈঠকে বসা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। তাদের সমস্যার সত্যিকারের সমাধানসূত্র বের করে আনা উচিত। কৃষকরাই এই দেশের অন্নদাতা। তাদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করলে বা তাদের গ্রেফতার করা হলে, তাদের জখমে নুন ঘষে দেওয়ার মতো হবে।' উল্লেখ্য, পঞ্জাবের আপ সরকার আন্দোলনরত কৃষকদের আজ আটকায়নি। এদিকে কৃষকরা কংগ্রেসকে তোপ দাগলেও এই ইস্যুতে কংগ্রেস বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।