আর হার্ডকপির নয়, এবার থেকে মিলতে পারে ডিজিটাল ভোটার কার্ড। এমনই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে নির্বাচন কমিশন। 'হিন্দুস্তান টাইমস'-কে একথা জানিয়েছেন কয়েকজন আধিকারিক।
তাঁরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের (অসম, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি) বিধানসভা ভোটের আগেই সেই ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। যে ভোট আগামী বছর মে'র মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আপাতত হার্ডকপিতে পাওয়া যায় সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র। নাম গোপন রাখার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এবার থেকে পিডিএফে মিলতে পারে ভোটার কার্ড। সেই প্রক্রিয়ার যাবতীয় নিয়মের বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ওই আধিকারিকদের বক্তব্য, ভোটার কার্ড ডিজিটাল হয়ে গেলে মুদ্রণের খরচ বাঁচবে। তাতে লাভ হবে কমিশনের। তবে সেই প্রস্তাব কার্যকরের আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং রাজীব কুমারের অনুমোদন লাগবে। তারপর ভোটার কার্ডের ডিজিটাইজেশন শুরু হবে।
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৯১১ মিলিয়ন (৯১ কোটি) বৈধ ভোটার নথিভুক্ত আছেন। গত নভেম্বরের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যাটা ৭ কোটি ১৮ লাখের মতো। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের মাত্র চার মাস আগে সেই বড়সড় কর্মযজ্ঞ আদৌও পুরোপুরি সম্পন্ন হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে একাংশের। বিশেষত সকলে আদৌও ই-ভোটার কার্ড রাখতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টিও ভেবেচিন্তে দেখতে হবে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।