মাত্র আট বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ নাবালিকার। জানা গিয়েছে, কয়োকশো কোটি টাকার মালিক হীরে ব্যবসায়ী ধনেশ সাংভির মেয়ে দেবাংশী সাংসারিক মোহ মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাসের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেবাংশীর বাবা ধনেশ সুরাত ভিত্তিক একটি হীরের সংস্থার মালিক। সাংভি অ্যান্ড সন্স নামক সংস্থাটি গুজরাটের অন্যতম পুরোনো এবং বড়। ধনেশের বাবা মোহন এই সংস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিদেশে বহু দেশে শাখা রয়েছে সাংভি অ্যান্ড সন্সের। ধনেশের দুই কন্যা রয়েছে। দেবাংশী তাঁর বড় মেয়ে।
সাংসারিক সুখ, বিষয় সম্পত্তির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক শেষ করার আগে দেবাংশী বিশাল এক মিছিলে অংশ নেন। সেই মিছিলে নাচ, গান ছিল। অলঙ্কারে সজ্জিত হাতি, ঘোড়া থেকে উটও ছিল। তবে এরপরই এবার ত্যাগের পথে হাঁটবেন এই আট বছর বয়সি নাবালিকা। যা প্রায় অবিশ্বাস্য। সাংভির এক পারিবারিক বন্ধু সংবাদমাধ্যমকে দেবাংশীর বিষয়ে বলেন, 'দেবাংশী ছোটবেলা থেকে কোনওদিনই টিভি দেখত না, কখনও সিনেমা দেখতে হলে যায়নি, রেস্তোরাঁতে গিয়ে খায়নি।' শুধু দেবাংশী নয়, তার মা, বাবাও খুব সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করেন। কয়েকশো কোটির মালিক হয়েও বিলাশিতা তাঁদের ছুঁতে পারেনি।
দেবাংশীর ছোট বোনের বয়স এখন মাত্র পাঁচ বছর। তার নাম কাব্য (Kavya)। সেও জীবনে বিলাশিতা ভোগ করেনি বলেই দাবি সাংভিদের পারিবারিক বন্ধুর। জানা গিয়েছে, সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেবাংশী মোট ৩৬৭টি দীক্ষার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সন্ন্যাস গ্রহণ না করলে পরবর্তীকালে কয়েকশো কোটি টাকার মালিক হতে পারতেন দেবাংশী। খুব ছোটবেলা থেকেই দেবাংশী দিনে তিনবার করে প্রার্থনা করত। ধর্মীয় আচার বিচার মেনেই জীবন যাপন করত। এত ছোট বয়সে দেবাংশী সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেকেই অবাক হলেও তাই এতটুকু হতবাক নন সাংভি পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।