আগেই উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে পূর্বসূরিকে নিয়ে এসেছিল কংগ্রেস। এবার ফের পিছিয়ে গেল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়ে দিল করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নির্বাচন। ততদিন সোনিয়া গান্ধীই সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। আজ সোমবার বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি (সিডব্লিউসি)। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে করোনা পরিস্থিতি যত দিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন স্থগিত রাখা হল। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায়ভার মাথায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। মনে করা হয়েছিল চারটি বিধনসভা এবং পুদুচেরির নির্বাচনে কংগ্রেস যদি ভাল ফল করত বা কেরলেও যদি ক্ষমতায় ফিরত, তবে রাহুল গান্ধীকে ফের কংগ্রেস শীর্ষ পদে ফিরিয়ে আনা হত। কিন্তু এবারও ব্যাপক ভরাডুবির পর রাহুলের ফেরার রাস্তা বন্ধই থাকছে। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে চার রাজ্যে ভরাডুবির কারণ খুঁজতে দু’দিনের মধ্যে একটি কমিটি তৈরি হবে। জানুয়ারি মাসে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। তারপর কংগ্রেস ঠিক করে দলের নয়া সভাপতি বেছে নেওয়ার নির্বাচন হবে আগামী ২৩ জুন। কিন্তু দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এখন দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনের কাজ মুলতুবি রাখা হচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল দলের শীর্ষপদে নির্বাচন নিয়ে টুইট করেন। যা নিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এমনকী গত বছর কংগ্রেসের কয়েক জন শীর্ষ নেতা খোলা চিঠি লেখেন। তাতে দ্রুত সভাপতি নির্বাচনের দাবি তোলা হয়। তবে সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে জুন মাসের মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। ২০১৭ সালে মায়ের পর কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া রাহুল চেয়েছিলেন এবার সভাপতিত্ব করুন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ। একাধিক বৈঠকের পরেও রাহুল তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। যদিও শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে দলের ভার নেন সোনিয়া গান্ধী। এই বিষয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘দু’তিন মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল এই নির্বাচন প্রক্রিয়া।’