ইভিএমের যথার্থতা নিয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব বলেও দাবি করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এমনকী ফের ব্যালটে নির্বাচন করার ব্যাপারেও দাবি তুলেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তবে ইভিএমের যথার্থতা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের আধিকারিকের দাবি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম) ও ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রায়ালের(ভিভি প্যাট) মধ্যে তথ্যে হুবহু মিল পাওয়া গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ইভিএম ও ভিভি প্যাটের তথ্যের মধ্যে ১০০ শতাংশ মিল রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে ইভিএমের যথার্থতা ও নির্ভুলতা।’ চার রাজ্য কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও অসম ও কেন্দ্রশাসিত রাজ্য পন্ডিচেরির নির্বাচন সদ্য হয়েছে। সেই নির্বাচন শেষে বিশেষ পর্যবেক্ষণ কমিশনের। প্রসঙ্গত গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যের যাবতীয় ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের স্লিপগুলি মিলিয়ে দেখার জন্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত ১৯৮৯সালে ইভিএমের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল কমিশন। এরপর ২০১৯য়ের নির্বাচনে দেশের সর্বত্র ইভিএমে ভোট হয়। এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ছিল ১,৪৯২টি ভিভিপ্যাট, তামিলনাড়ুতে ১,১৮৩টি, কেরলে ৭২৮টি ও অসমে ৬৪৭টি ও পন্ডিচেরিতে ১৫৬টি ভিভিপ্যাট ছিল। মূলত ইভিএমে ভোট যথাযথ জায়গায় পড়ছে কি না তা পরখ করার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।