বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মা আত্মহত্যা মামলায় মঙ্গলবার হরিয়ানার প্রাক্তনমন্ত্রী গোপাল কান্দাকে বেকসুর খালাস করল দিল্লি কোর্ট। শুধু গোপল কান্দাই নন, তাঁর সঙ্গে তাঁর সঙ্গী অরুণা চাঢ্ঢাকেও বেকসুর খালাস করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের হয়েছিল। কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘সমস্ত যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে’, এই মামলায় গোপাল কান্দার বিরোধীপক্ষ।
এদিন হরিয়ানার প্রাক্তনমন্ত্রী গোপাল কান্দা ও তাঁর সঙ্গী অরুণা চাঢ্ঢাকে ১ লাখ টাকার বন্ডে স্বাক্ষর করার নির্দেশ দেয় কোর্ট। এছাড়াও জানানো হয়েছে, যদি দিল্লি পুলিশ পরে তাঁদের বেকসুর খালাস হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করে, তাহলে তাঁরা যেন উপস্থিত থাকেন। উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন হরিয়ানায় ভূপিন্দর সিং হুদা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন গোপাল কান্দা। কান্দার বিরুদ্ধে গীতিকা শর্মা আত্মহত্যা মামলায় ৩০৬, ৫০৬, ২০১, ১২০বি, ৪৬৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও ওই মামলায় ধর্ষণ ও অবাঞ্ছিত সঙ্গম সম্পর্কিত মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন গোপাল। কান্দার এমএলডিআর এয়ারলাইন্সের বিমানসেবিকা ছিলেন গীতিকা। রহস্যজনকভাবে গীতিকার আত্মহত্যার ঠিক ৬ মাস বাদে তাঁর মাও আত্মহত্যার রাস্তা নেন। সেখানে তিনি একটি সুইসাইড নোট রাখেন। সেই সুইসাইড নোটে অভিযোগ ছিল যে, বিমানসেবিকা গীতিকা ও তাঁর মাকে আত্মহত্যার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন গোপাল কান্দা। এদিকে, ২০১২ সালের ৫ আগস্ট গোপাল কান্দার উত্তর দিল্লির অশোক বিহারের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন গীতিকা। সেখানে সুইসাইড নোটে গীতিকা অভিযোগ করেন, গোপাল কান্দা ও তাঁর সহযোগী অরুণা চাঢ্ঢা প্রবলভাবে হেনস্থা করছিলেন গীতিকাকে। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এরপরই হরিয়ানার লোকহিত পার্টি ও তৎকালীন কংগ্রেসের সরকারের মন্ত্রী গোপাল চাঢ্ঢাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হরিয়ানার সিরসা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে, গীতিকার মায়ের আত্মহত্যার ঘটনার পর সুইসাইড নোটে ফের উঠেছিল গোপাল কান্দার নাম। যদিও পুলিশের দাবি, গোপাল কান্দাকে নিয়ে তাদের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিকে, গীতিকা আত্মহত্যা মামলায় গোপাল কান্দার বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ উঠতেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে তখন ছাঁটাই করা হয়।