করোনাভাইরাস সংক্রমণের পাশাপাশি দেশের বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকের ভিড়।
সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ঘেরাটোপে রাতারাতি গোটা দেশকে মুড়ে ফেলায় গভীর সমস্যায় পড়েছেন ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা। একদিকে কর্মস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বে-রোজগেরে হয়ে পড়েছেন, অন্য দিকে পরিবহণ অচল হওয়ার জেরে তাঁরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় রাস্তায় নেমেছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘরমুখী শ্রমিক সমাগম দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। সেখানে কর্মরত উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে না পেরে রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনাসের বাইরে জড়ো হয়েছেন।
দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে যেতে বেশ কিছু বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সড়ক পরিবহণ নিগম। কিন্তু বিপুল যাত্রীসংখ্যার কারণে সেই প্রচেষ্টাও মন্থর হয়ে পড়েছে।
সেই সঙ্গে প্রবল ঝুঁকির মুখে পড়েছে রাজধানীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। ঘরে ফেরার জন্য ব্যাকুল শ্রমিকদের মধ্যে সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখার নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাসে সওয়ারি হওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি বাধছে।
এমনকি বাসের ভিতরে ও মাথার উপরে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে সফর করছেন ভিনরাজ্যবাসী। আর তার জেরে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় ভুগতে শুরু করেছেন দিল্লিবাসী।
শনিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসের উদ্দেশে কাতারে কাতারে শ্রমিকের মিছিল এসে ভিড় করে। গোটা অঞ্চ ঘিরে তৈরি হয় প্রবল বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয় পুলিশ। উত্তেজনা না ছড়ালেও স্বল্প পরিসরে এই বিপুল জনসমাগম যে আখেরে Covid-19 সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে না, সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না প্রশাসনও।