দেবব্রত মোহান্তি
মঙ্গলবার ওড়িশার কেওনঝাড়ে মালগাড়ির ধাক্কায় দুই স্ত্রী হাতির মৃত্যু। ওড়িশার কেওনঝাড়ে জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে রেললাইনে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
সূত্রের খবর, কেওনাঝাড় ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনে রেবানা রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্য়ে দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল হাতির দল। সব মিলিয়ে ওই দলে ৯়টি হাতি ছিল। মূলত হাতিরা দল বেঁধেই যাতায়াত করে। মালগাড়ির ধাক্কায় দুটি হাতির মৃত্যু হয়। অপর একটি হাতি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরে জখম হাতিটি অন্য হাতিদের সঙ্গেই চলে যায়। গভীর জঙ্গলে এটি চলে গিয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পরেই বনদফতরের পদস্থ আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যান। আনন্দপুরের ডিএফও জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মালগাড়িটি বেশ দ্রুত গতিতেই যাচ্ছিল। তবে এলাকায় যে হাতির দল রয়েছে এনিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল।
এদিকে বনদফতরের এক আধিকারিকের মতে, এটা পুরো রেলের গাফিলতি। গত এপ্রিল মাসে আঙ্গুল জেলায় একটি দাঁতাল হাতি সম্বলপুর-শালিমার মহিমা গোঁসাই সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যায় হাতিটি। হাতিটির বয়স ছিল ৩০ বছর।
প্রসঙ্গত ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ওড়িশায় ২০টি হাতির মৃত্য়ু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় পরিবেশ বন মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য় মিলেছিল। এদিকে গত ৬ বছর ধরে গোটা দেশে যত হাতি রেলের ধাক্কায় মারা গিয়েছে তার মধ্য়ে ওড়িশা দ্বিতীয়।
এদিকে গত বছর এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছিলেন রেললাইনে হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বড় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছিলেন, যেখানে রেল লাইনের উপর দিয়ে বন্য জীবজন্তুর যাতায়াত রয়েছে, সেখানে রেললাইনের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আন্ডারপাসে অনেকটা জায়গা থাকবে। যেখান দিয়ে জন্তুরা পার হতে পারবে।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সংযোজন
রেললাইনে হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বাংলাতেও নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও রেলপথে হাতির মৃত্যুর ঘটনা অতীতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রেলপথে যাতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে ইদানিং বাংলায় কিছুটা হলেও রেলের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে। তবে ইতিমধ্য়েই এনিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে। তবে এবার আর বাংলায় নয়, ওড়িশায় রেলের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা ওড়িশার কেওনঝাড়ে।