গর্ভপাত বিরোধী কর্মী। এদিকে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করেই পাঁচটি ভ্রূণ পেলেন পুলিশকর্মীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের এক প্রজনন ক্লিনিকে অবরোধকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।
পুলিশ কর্মীরা জানান, সূত্র মারফত তাঁদের কাছে খবর আসে। বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব ওয়াশিংটনের একটি বাড়িতে 'সম্ভাব্য জৈব-বিপদ উপাদান' আছে বলে খবর পান তাঁরা। সেই ভিত্তিতেই তল্লাশি অভিযানে যান তাঁরা।
অভিযুক্ত লরেন হ্যান্ডি(২৮) গর্ভপাত বিরোধী প্রতিবাদী। ২০২০ সালের অক্টোবরে ওয়াশিংটনে এক প্রজনন ক্লিনিকের সামনে লরেন্স ও তাঁর ৮ জন সঙ্গী বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেটি ফেসবুকেও লাইভ স্ট্রিম করেছিলেন তিনি।
অভিযোগ, এই লরেন্স হ্যান্ডি রোগী হওয়ার ভান করে ওই ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন। ২২ অক্টোবর, অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন, লরেন্সের সঙ্গে আরও ৮ জন আসেন। তাঁরা সবাই মিলে ক্লিনিকের দরজা আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন।
তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চেয়ারের সঙ্গে নিজেদের বেঁধে ফেলেন। রোগী, ক্লিনিকের কর্মীদের প্রবেশপথ অবরোধ করা হয়।
পুলিশ আধিকারিকরা জানান, মোট পাঁচটি ভ্রূণ সংগ্রহ হয়েছে। তদন্ত চলছে।
হ্যান্ডি এবং অন্য ৮ জনের বিরুদ্ধে অধিকারবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং প্রবেশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। মার্কিন ফেডারেল আইন (যা সাধারণত FACE আইন নামে পরিচিত) অনুযায়ী প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা চাওয়া ব্যক্তিকে ভয় দেখানো বা, শারীরিকভাবে বাধা দেওয়া বা বল প্রয়োগের হুমকি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।