কল্পবিজ্ঞানের গণ্ডি ছাড়িয়ে উড়ন্ত যানবাহন এখন বাস্তবের দুনিয়ায়। সম্প্রতি আমেরিকার ডেট্রয়টে একটি উড়ন্ত বাইকের প্রদর্শনী হয়। আর এরই মধ্যে রিপোর্টে দাবি করা হল, চিনে উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা করা হয়েছে। চিনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক রিপোর্ট অনুসারে, সিচুয়ান প্রদেশের চেংডুতে দক্ষিণ-পশ্চিম জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিনা গবেষকরা গত সপ্তাহে ‘উড়ন্ত’ যাত্রীবাহী গাড়ির পরীক্ষা চালান। এই গাড়িগুলি একটি কন্ডাক্টর রেলের উপরে ৩৫ মিলিমিটার ভাসতে পারে। বুলেট ট্রেনের মতোই চুম্বক ব্যবহার করে এটি শূন্যে ভেসে যায়।
গবেষকরা গাড়ির তলদেশে শক্তিশালী চুম্বক যুক্ত করেছে। এই ধরনের মোডিফায়েড আটটি সেডান পরীক্ষা করা হয়। ৮ কিলোমিটার রেলপথে এই গাড়িগুলির পরীক্ষা চালান গবেষকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, আটটির মধ্যে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ ২৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগ ছুঁয়ে ফেলে পরীক্ষার সময়।
সিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি পরিবহণ কর্তৃপক্ষ উচ্চ-গতির এই গাড়িগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করতে এই পরীক্ষাগুলো চালিয়েছিল। এদিকে, এই যানের নির্মাতা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেং জিগাং-এর মতে, যাত্রীবাহী গাড়ি চালানোর জন্য চৌম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কম শক্তি খরচ হবে। অর্থাৎ এই পরিবহণ ব্যবস্থা পরিবেশ বান্ধবও বটে। প্রসঙ্গত, এই গাড়ি যেই প্রযুক্তিতে চলে, সেই একই চৌম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাপান, চিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রেন চলাচল করে। ১৯৮০ সাল থেকেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে রেলের ক্ষেত্রে। তবে চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে এই প্রথম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হল বলে দাবি করা হচ্ছে। এই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্প্রতি চিনের শ্যাংডং প্রদেশে একটি বুলেট ট্রেন চালু করা হয়েছে যেটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০০ কিনি বেগে ছুটতে পারে।