বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, প্রত্যেক দেশবাসীকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য। এমনকী তিনি চিঠিও লিখেছিলেন। বৃহস্পতিবারও ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সেই আওয়াজ তুলেছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ১১৬ জন প্রাক্তন আমলা। যে চিঠির নির্যাস—অবিলম্বে প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। এমনকী এই খোলা চিঠিতে তাঁরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরটি–পিসিআর পরীক্ষার হারও বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন।
ইতিমধ্যেই দেশে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। যার জন্য প্রথম ডোজের সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই টিকাকরণের লক্ষ্যে টাইমলাইনের কথা বলেছেন তিনি। আর প্রাক্তন আমলাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব কে সুজাতা রাও, দিল্লির প্রাক্তন গভর্নর নজীব জং এবং দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন বিদেশ সচিব শিবশঙ্কর মেনন।
আজ তাঁরা লিখেছেন, ‘এই অতিমারি সারা পৃথিবীর মানুষকে সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। ভারতবাসীরাও রেহাই পাচ্ছেন না। দেশে এখন মৃত্যুমিছিল চলছে। অসংখ্য মৃতদেহের ছবি এবং স্বজনহারাদের হাহাকার বা চিকিৎসার জন্য করুণ আর্তি আমাদের বিচলিত করছে। আরও বেশি বিচলিত করছে আপনার সরকারের গা–ছাড়া মনোভাব দেখে। আমাদের দেশ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রতিষেধক উৎপাদনকারী। আর সেই দেশেই টিকার আকাল।’
দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবিতে আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামও। সেখানেও দ্রুত দেশের সব মানুষকে যাতে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হয়, তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে বেশি দামে প্রতিষেধক কিনতে যাতে না হয়, তার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এখন দেখার পরপর চিঠি পেয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কোন পদক্ষেপ করে।