নয়াদিল্লিতে পা রাখার পরই জাতীয় রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। জুলাই মাসের সফরেও জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছিলেন তিনি। এবার তা আরও বাড়ল। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর কাছে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন জনতা দল (ইউনাইটেড)–এর প্রাক্তন নেতা পবন ভার্মা। নীতীশের দলের এই নেতা একসময় বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। এমনকী ভারতের কূটনীতিবিদ হিসাবেও কাজ করেছিলেন। একাধিক বই লিখেছেন তিনি।
আজ, মঙ্গলবার তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নয়াদিল্লিতে অভিষেকের বাসভবনে। সেখানেই তিনি এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখন নীতীশের দল বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে। তাই বহু নেতারা এখন আর থাকতে চাইছেন না। বিজেপির সঙ্গে কাজ করা যায় না বলেই তাঁদের মত। তাছাড়া এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা একসময় নীতীশ কুমারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে আজ দলে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যোগদানের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রবীণ এই নেতার অভিজ্ঞতা দেশের মানুষকে সাহায্য করবে। আর জাতিকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর নয়াদিল্লিতে দেখতে চাই।’
উল্লেখ্য, এই পবন ভার্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন নীতীশ কুমার। দলের গাইডলাইন না মানায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তখন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। সালটা ছিল ২০১৯। তখন নীতীশ কুমার বলেছিলেন, পবন ভার্মা যেখানে খুশি যেতে পারেন। তবে এই পবন ভার্মা বই লিখে ভুটান থেকে পুরষ্কারও পেয়েছিলেন।