শীঘ্রই বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম স্থানে চলে আসতে পারেন গৌতম আদানি। টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসতে পারেন তিনি। বর্তমানে তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি তিনি। এক সাধারণ ব্যবসায়ীর হিসাবে জীবন শুরু করে আজ এই উচ্চতায় পৌঁছেছেন গৌতম আদানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, গৌতম আদানির নেট সম্পদ ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ইলন মাস্কের বর্তমানে মোট সম্পদ ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। টুইটার অধিগ্রহণের চক্করে বর্তমানে তাঁর টেসলার শেয়ার নড়বড়ে। চলতি বছর তাঁর নেট ওয়ার্থ প্রায় ১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে গৌতম আদানির মোট সম্পদ গত এক বছরে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। ফলে ইলন মাস্কের সংস্থার শেয়ারের পতন অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই গৌতম আদানি তাঁর স্থান দখল করে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: মোদী নন, রাজীব গান্ধীর আমলেই আমার ব্যবসার উন্নতি শুরু হয়, অকপট গৌতম আদানি
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে যে, আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যেই ইলন মাস্ককে ছাপিয়ে যেতে পারেন গৌতম আদানি। গত ১৩ ডিসেম্বর ইলন মাস্ক তাঁর বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির স্থান হারান। তাঁর স্থান নেন বিলাসবহুল ফ্যাশান সংস্থা লুই ভিটনের কর্তা বার্নার্ড আর্নল্ট। বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তিনিই। এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলন মাস্কই প্রথম এমন ব্যক্তি যাঁর মোট সম্পদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পেয়েছে।
মার্কিন মুলুক তথা সমগ্র বিশ্বকে বৈদ্যুতিক গাড়ির পথ দেখিয়েছিল টেসলা। ইলন মাস্ক-ই প্রমাণ করেছিলেন যে বৈদ্যুতিক গাড়িই ভবিষ্যত এবং আমজনতার গাড়ি এটিই হতে চলেছে। এতদিন সেই বাজারে টেসলারই একচেটিয়া কর্তৃত্ব ছিল। তাছাড়া ইলন মাস্কের তুমুল জনপ্রিয়তাও অনস্বীকার্য। সেই কারণে টেসলার শেয়ার ভাল পারফর্ম করছিল।
কিন্তু বর্তমানে মার্কিন মুলুক তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই গাড়ি নির্মাতারা ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি শুরু করেছে। ভারতের মতো বাজারেও টাটা সাধ্যের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি এনেছে। ফলে টেসলার একচেটিয়া ব্যবসার সেই যুগ আর নেই। আর সেই কারণে ক্রমেই কমেছে তাদের চড়া শেয়ার দর।
টেসলার সাংহাই প্ল্যান্টে উত্পাদন হ্রাস করা হয়েছে। বাজার ধরে রাখতে দু'টি জনপ্রিয় মডেলে প্রায় ৭,৫০০ ডলারের ছাড় দিচ্ছে সংস্থা। আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্তর বাগদান, আম্বানি বাড়ির ছোট বউ কে?
এর পাশাপাশি সম্প্রতি টুইটার অধিগ্রহণের জন্য টেসলার বিপুল পরিমাণে শেয়ার বিক্রি করেছেন ইলন মাস্ক। সংস্থার কর্তাই যদি তাঁর নিজের ভাগের শেয়ার বিক্রি করে দেন, তাহলে তো সেই শেয়ারের দাম কমবেই। এখানেই শেষ নয়। এরপর টুইটারে ইলন মাস্কের নানা মন্তব্য, নীতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর তার প্রভাব পড়ছে টেসলার শেয়ারে। এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে আর টেসলার শেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা।