বিশ্ব বাজারে উর্ধ্বমুখী হলেও ভারতে পড়ল সোনার দাম, রুপোর উত্থান জারি

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার জেরে সোনার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।

বিশ্ব বাজারে উর্ধ্বমুখী হলেও ভারতে পড়ল সোনার দাম (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স)

বিশ্ব বাজারে চড়চড়িয়ে দাম বাড়লেও ভারতে কমল সোনার দর। বৃহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অক্টোবর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়াল ৫২,০৩৬ টাকা। গত তিনদিনে এই নিয়ে দু'দিন পড়ল হলুদ ধাতুর দাম।

গত সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.৭ শতাংশ বা ৩৫০ টাকা বেড়েছিল। গত মঙ্গলবার অবশ্য এমসিএক্স সূচকে হলুদ ধাতুর দর পড়েছিল প্রায় ৬ শতাংশ বা ৩,২০০ টাকা। যা ক্রেতাদের কাছে বড়সড় স্বস্তির ছিল। কারণ গত সপ্তাহে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল।

সোনার দর কমলেও বৃহস্পতিবার রুপোর উত্থান অব্যাহত। এমসিএক্স সূচকে এক কেজি রুপোর দর ০.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭,০৫০ টাকা। গত সেশনে প্রতি কেজি রুপোর দাম ০.০৬ শতাংশ বেড়েছিল। 

এদিকে, মঙ্গলবার ৬ শতাংশ পতনের পর বিশ্ব বাজারে আবারও সোনার দাম উর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেদিন সাত বছরে সোনার পতন সর্বাধিক ছিল। তারপর বৃহস্পতিবার এক আউন্স হলুদ ধাতুর দাম এক শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯৩৬.২৯ ডলার। নিউ ইয়র্কে কমেক্সে ফিউচার্স ফর ডিসেম্বর ডেলিভারি আবার এক শতাংশ কমে হয়েছে ১,৯৩০.৪ ডলার। গত সপ্তাহে সোনার দাম রেকর্ড ২,০৭৫.৪৭ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল।

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার জেরে সোনার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বল ডলার। দুইয়ের মিশেলে সোনার দাম উর্ধ্বগামী হয়েছে। একটি বিবৃতিতে কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, আমেরিকা-চিনের উত্তেজনা এবং বাড়তি আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে সোনার দাম বেড়ে চলেছে।