বিশ্ব বাজারে দুর্বল প্রবণতা অব্যাহত আছে। তারই রেশ ধরে তিনদিনের মধ্যে দু'দিন ভারতীয় বাজারে পড়ল সোনার দাম। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৭০২ টাকা। অন্যদিকে, এক কেজি রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৯,১০৪ টাকা।
তবে সম্প্রতি ভারতীয় বাজারে সোনা কিছুটা সস্তা হলেও চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দাম ১,২০০ টাকার মতো বে়ড়েছে। এমনিতে রেকর্ড দরের থেকে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৮,৫০০ টাকা কম আছে। গত বছর অগস্টে সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
তারইমধ্যে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম কমেছে। মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার মধ্যেই এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮০৩.৫৬ ডলার। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে কমেছে রুপোর দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬.০৩ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত চলতি সপ্তাহ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়ালের মন্তব্যের দিকে তাকিয়ে আছেন সোনার লগ্নিকারীরা। যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অপ্রত্যাশিত ইঙ্গিতের জেরে গত মাসে সোনার দাম প্রায় ছ'শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। চলতি মাসে সোনার পতন অবশ্য রুখেছে ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস। লগ্নিকারীদের আশঙ্কা, সেই প্রজাতির সংক্রমণের জেরে আবারও ধাক্কা খেতে পারে বিশ্বের অর্থনীতি। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ আরও কণ্টকপূর্ণ হয়ে উঠবে।
মিলউড কেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিশ ভাট বলেন, ‘নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাস অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি করেছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগামিদিনে বড় দেশগুলির সংক্রমণ রোখার দক্ষতা, টিকাকরণের গতি, বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং মুদ্রাস্ফীতির উপর সোনার দাম নির্ভর করছে।’