দীপাবলির পর টানা তিনদিন ভারতে পড়ল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ডিসেম্বর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,৫৪৬ টাকা। সোনার মতোই রুপোও নিম্নগামী হয়েছে। এমসিএক্স সূচকে এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৬২,৮৭৫ টাকা।
গত সপ্তাহে (দীপাবলির সপ্তাহে) এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দর ১,২০০ টাকা কমেছিল। করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে যে আশা তৈরি হয়েছে, তার জেরে লগ্নিকারীদের মধ্যে ঝুঁকির প্রবণতা বেড়েছে। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দর যে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছেছিল, তার থেকে দাম প্রায় ৬,০০০ টাকা কম পড়ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বিশ্ব বাজারে সোনার দাম কমেছে। এক আউন্স সোনার দাম ০.২ শতাংশ কমে হয়েছে ১,৮৭৬.৮৫ ডলার। তবে অবিচল আছে রুপো। এক আউন্স রুপোর দাম পড়ছে ২৪.৪৭ ডলার। ডলার সূচক বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের কাছে দামি হয়েছে হলুদ ধাতু।
কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম ১,৯০০ ডলারের গণ্ডি ছাড়ানোর জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। একাধিক কারণে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে সোনা। সেই প্রবণতা আগামিদিনেও চলতে পারে। তবে মর্ডানার করোনাভাইরাস টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত ঘোষণার পর সোনার দামে খুব একটা বড়সড় কিছু পরিবর্তন হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে সোনা। সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ জারির ফলে ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক গতিবিধি। তার প্রভাব পড়েছে হলুদ ধাতুর উপর।
তারইমধ্যে সোনার দামে প্রভাস ফেলেছে মার্কিন অর্থনৈতিক প্যাকেজ। মঙ্গলবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, করোনায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য যে জরুরি প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তা এখনই বন্ধ করে দেওয়ার সম্পর্ক নয়। বরং করোনার ধাক্কা কাটানোর জন্য অনেকদূর যেতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।