বাজেটের পরদিনও ভারতীয় বাজারে অব্যাহত থাকল সোনা এবং রুপোর নিম্নমুখী ধারা। মঙ্গলবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৮,৪৩৮ টাকা। সাম্প্রতিক উত্থানের পর একধাক্কায় অনেকটা পড়েছে রুপোর দামও। এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ২.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২,০০৯ টাকা।
গত সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১.২ শতাংশ বা ৬২৭ টাকা কমেছিল। এক কেজি রুপোর দাম অবশ্য প্রায় ছ'শতাংশ বা ৪,২৩৮ টাকা বেড়েছিল। সোমবার সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, আপাতত দুই ধাতুর উপর ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়। তা কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু সোনা এবং রুপোর উপর কৃষি পরিকাঠামো বাবদ ২.৫ শতাংশ সেস ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ আদতে আমদানি শুল্ক কমে ১০.৫ শতাংশ হয়েছে।
কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গয়না শিল্প। বিষয়টি নিয়ে মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের চেয়ারম্যান আহমেদ এমপি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হচ্ছিল। আমদানি শুল্ক বেশি রাখার ফলে অবৈধ আমদানি বাড়ছিল। ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছিল সরকারের। সেখানে আমদানি শুক্ল কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করার যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তা সঠিক পথেই অগ্রগতি বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানি শুল্ক কাটছাঁটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সোনার দাম কমলেও প্রভাব বেশিদিন নাও থাকতে পারে। বিশ্বের অন্যতম সোনা এবং রুপো ব্যবহারকারীর তালিকার প্রথম দিকেই আছে ভারত। দাম কমে যাওয়ার ফলে ভারতে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। তার জেরে বিশ্ব বাজারের দামে প্রভাব পড়তে পারে।
অন্যদিকে, গত সেশনে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির পর বিশ্ব বাজারে দু'শতাংশ কমেছে সোনার দাম। আগের সেশনে সোনার দর প্রায় আট বছরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। এক আউন্স স্পট সিলভারের দাম ১.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.৪৮ ডলার। অন্যদিকে আউন্স প্রতি হলুদ ধাতুর দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮৫৬.৮৬ ডলার।