বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে ভারতেও দুর্বল থাকল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,১২৬ টাকা। তবে কমেছে রুপোর দাম। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.০৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১,৮৭৫ টাকা।
এমনিতে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ২,০০০ টাকার মতো কমেছে সোনার দাম। সার্বিকভাব রেকর্ড দরের থেকে থেকে ৮,০০০ টাকার মতো কম আছে হলুদ ধাতুর দাম। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ঠেকেছিল ৫৬,১৯১ টাকায়। যা ভারতীয় বাজারে সোনার সর্বোচ্চ স্তর ছিল।
তারইমধ্যে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম সামান্য বেড়েছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৭৮৫.৪৮ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৯৮ ডলারের উপর থাকে, তাহলে আগামিদিনে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে। তবে যদি ১,৭৮৫ ডলারের নীচে নেমে যায়, তাহলে তা আরও কমে ১,৭৬৭ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। তারইমধ্যে রুপোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক আউন্স স্পট সিলভারের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২.৫১ ডলার।
ভারতের বাজারে সোনার দাম কী হবে?
‘লাইভ মিন্টে’ শেয়ার ইন্ডিয়ার রিসার্চের প্রধান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট রবি কুমার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তার জেরে সোনার দামে হেরফের হচ্ছে। ওমিক্রনের ভয়াবহতা বুঝতে লগ্নিকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দিকে তাকিয়ে আছেন। আপাতত স্বল্পকালীন সময় ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,০০০ টাকা থেকে ৪৬,৮০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। যদি ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টেনর অভিষেক চৌহানের মতে, আগামী কয়েক মাসে ৫২,০০০ টাকার স্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে রেকর্ড তৈরি হবে কিনা, তা নির্ভর করবে আগামী মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণের উপর।