আর অপরাধ থাকবে না তিন ধরনের বিষয়। তেমনই প্রস্তাব দিল জিএসটি পরিষদ। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এবার থেকে ওই তিন ধরনের বেআইনি কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। সেইসঙ্গে জিএসটি আইনের আওতায় কর সংক্রান্ত কোনও মামলার ন্যূনতম অর্থ বাড়িয়ে দু'কোটি টাকা করা হচ্ছে।
শনিবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি পরিষদের ৪৮ তম বৈঠকের পর কেন্দ্রের রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা বলেন, ‘কয়েকটি অপরাধমূলক কাজ যাতে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা না করা হয়, সেজন্য একটি বড়সড় সুপারিশ করা হয়েছে। তিন ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে (সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে)। কোনও আধিকারিককে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা আটকানো, ইচ্ছাকৃতভাবে বস্তুগত প্রমাণ নষ্ট করা এবং কোনও তথ্য প্রদান করতে না পারার বিষয়টি সেই তালিকায় আছে।’
কেন্দ্রের রাজস্ব সচিব আরও জানিয়েছেন, কর সংক্রান্ত বিষয়ে জিএসটি আইনের আওতায় লিপিবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্রে যে ন্যূনতম অর্থের পরিমাণ ছিল, তা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগে যে অর্থের পরিমাণ এক কোটি টাকা ছিল, এখন তা বাড়িয়ে দু'কোটি টাকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের রাজস্ব সচিব। সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ভুয়ো ইনভয়েসের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি প্রয়োজ্য হবে না।
কী কী সিদ্ধান্ত হয়েছে শনিবারের বৈঠকে?
- ভূষি ও ছুরির উপর থেকে জিএসটি তুলে দেওয়া হচ্ছে। যা আগে ছিল পাঁচ শতাংশ। অন্যদিকে, ইথাইল অ্যালকোহলের ক্ষেত্রেও জিএসটি ধার্য করা হবে না। যা ইথানল ব্লেন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা আগে ১৮ শতাংশ ছিল। বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব সচিব বলেছেন, ‘পেট্রলের সঙ্গে ব্লেন্ডিংয়ের জন্য তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে পাঁচ শতাংশ কম দামেই প্রদানের ছাড়পত্র দিয়েছি আমরা। এবার তৈল শোধনাগার সংস্থাগুলিকেও সেই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। যা ব্লেন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের আরও ক্ষমতা বাড়াবে এবং আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে। তার ফলে বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা।’
- জিএসটি পরিষদের চেয়ারপার্সন তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, মোট ১৫ টি বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে মাত্র আটটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলি নিয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হবে।