ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার এবং অনলাইনের ভুয়ো থেরাপিস্টদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়ম বানাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট। হাই কোর্ট বলে, ‘অনেকেই এই ভুয়ো ব্যক্তিদের প্রভাবে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই আবহে অনলাইন থেরাপিস্ট এবং ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার। এদের জন্য নিয়মও তৈরি করা হোক।’
উল্লেখ্য, এক ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সেই ইনফ্লুয়েন্সার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেনি হাই কোর্ট। পাশাপাশি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘অনলাইনে এই ধরনের অনেক থেরাপিস্ট আছেন। তারা কোনও নিয়মের ধার ধারেন না। কোনও আইন, নিয়ম বা নীতি তাদের উপর প্রযোজ্য নয়। এই আবহে অনলাইন থেরাপিস্টদের কথা শুনে ফাঁপড়ে পড়েন অনেক সাধারণ মানুষ। এই ধরনের ঘটনা সাম্প্রতিককালে বেড়ে গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, সঞ্জনা ফার্নান্ডেজ ওরফে রাবীরা কর্ণাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে। সঞ্জনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের এজলাসে সেই মামলার শুনানি চলছিল। জানা গিয়েছে, পেশায় একজন আইটি কর্মী সঞ্জনা। এক ডেটিং অ্যাপে এক ছেলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেই ছেলেটির কাছে সঞ্জনা দাবি করেন যে তিনি এখন ওয়েলনেস থেরাপিস্ট। তিনি নিজের ইনস্টগ্রাম প্রোফাইলের লিঙ্কও দেন সেই ছেলেটিকে। কোভিডের সময় সঞ্জনার অনলাইন ক্লাসে যোগ দেয় সেই ছেলে। পরে ক্লাসের বিনিময়ে ৩.১৫ লাখ টাকা দেন সঞ্জনাকে। পরে সেই ছেলে জানতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায় এরম ১৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সঞ্জনার এবং সে প্রতারণা করে থেরাপির নামে। এদিকে সঞ্জনার অভিযোগ, মামলাকারী তাঁকে অশালীন মেসেজ পাঠাচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করায় সেই ছেলে এই প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। তবে আদালত জানায়, সঞ্জনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। তাই সেই মামলা খারিজ করা হবে না।