উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল মামলায়। তবে এবার বোম্বে হাইকোর্ট সেই মামলাকে খারিজ করে দিল।
বোম্বে ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। এনিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ১ ও ২ নম্বর রেসপন্ডেন্টের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সরকার কখনও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতায় কোনওদিন হস্তক্ষেপ করা হয়নি। সংবিধানকে সবসময় শ্রদ্ধা করা হয়।
এর সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে,রেসপন্ডেন্ট নম্বর ১ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। তিনি ভারতের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নিঃসন্দেহে সমস্ত ক্ষেত্রেই দেশের সমস্ত নাগরিক সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতের সংবিধানের বিশ্বাসযোগ্যতা গগনচুম্বী। কারোর মন্তব্যে এর কোনও ক্ষতি হয় না। ভারতের সংবিধান সুপ্রিম।ভারতের প্রত্যেক নাগরিক এই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। আশা করা যায় ভারতের প্রত্যেক নাগরিক এই সংবিধানের মূল্যবোধকে মেনে চলেন।
তবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও সকলেই শ্রদ্ধা করেন। বলা যায় সকলের কাছে এই প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধেয়। যাঁরা সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করেছেন তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার।
তবে এবার সামগ্রিকভাবে বোম্বে হাইকোর্ট উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে জনস্বার্থ মামলায় উল্লেখ করেছিল। এনিয়ে নানা চর্চা হয়েছে। তবে এদিন আদালত দেশের সংবিধানের স্থানের কথা উল্লেখ করেছে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন বোম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে,ভারতের সংবিধানের বিশ্বাসযোগ্যতা গগনচুম্বী। কারোর মন্তব্যে এর কোনও ক্ষতি হয় না। ভারতের সংবিধান সুপ্রিম।ভারতের প্রত্যেক নাগরিক এই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup