দেশে ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বন্যা ও ভারী বর্ষণের ফলে ১৭ হাজার জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, একথাই সোমবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে, জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু বলেন, বেশ অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্রমবর্ধমান অতি বর্ষণের ঘটনাগুলি প্রধানত বিভিন্ন শহরাঞ্চলে বন্যার জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতিকে বর্তমানে আরও জটিল করে তুলেছে অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, প্রাকৃতিক জলাধারগুলি বুজিয়ে ফেলার মত ঘটনা।
(আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বন্যায় বেহাল উত্তরবঙ্গ, খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের দল, জানালেন মমতা)
রাজ্যসভায় বিশ্বেশ্বর টুডু বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য পেশ করেন। সেই তথ্য অনুসারে, ভারতে ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১৭,৪৪২ জন মারা গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই অনুমান করা যায় সরকারি মতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার হলেও বাস্তবে তা আরও বেশি।
(আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির পর হড়পা বান আফগানিস্তানে, মৃত ৩১, পাকিস্তানেও মৃত্যু ১৩ জনের)
সমগ্র রাজ্যে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চল ধরে ভারী বর্ষণ এবং বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য কেন্দ্রীয় জল কমিশন (CWC) দ্বারা সংকলিত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ফসল, বাড়িঘর এবং জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই ধারণার বাইরে। প্রায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশজুড়ে, এমনটাই জানিয়েছেন জলশক্তি প্রতি মন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু।
মিঃ টুডু, একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বন্যাপ্রবণ এলাকার শহরাঞ্চলে বন্যা মোকাবেলায় ভূগর্ভস্থ জল সঞ্চয় এবং অন্যান্য প্রকৃতি পদ্ধতিগুলিতে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ধরনের উদ্যোগগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ভূগর্ভস্থ জলে সঞ্চয়ের জন্য মাস্টার প্ল্যানটি CGWB ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৮৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার জল ধরে রাখা সম্ভব হবে। সামগ্রিক প্রকল্পটির জন্য দেশজুড়ে ১কোটি ৪২ লক্ষ কাঠামো প্রস্তুত করা হবে, যা বৃষ্টির জল সংগ্রহ এবং ভূগর্ভে সঞ্চয়ের জন্য উপযুক্ত হবে।