আদালতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, গণতন্ত্রে যে কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে অন্যতম বড় বিপদ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকা। সেক্ষেত্রে ‘সূর্যের আলোই’ (পড়ুন লাইভ স্ট্রিমিং) হল সবথেকে ভালো জীবাণুনাশক।
শনিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পক্ষে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, আদালতের কাজকর্মের ঘটনার লাইভ স্ট্রিমিং করা হলে মানুষের মনে স্বচ্ছতা তৈরি হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সূর্যের আলো হল সবথেকে ভালো জীবাণুনাশক। গণতন্ত্রে যে কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে অন্যতম বড় বিপদ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকা। আপনি যখন কোনও প্রক্রিয়ায় সকলের জন্য দরজা খুলে দেন, তখন নাগরিকদের চাহিদার প্রতি দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা এবং সংবেদনশীলতার বিষয় তৈরি হয়।’
আরও পড়ুন: HTLS 2022: অবিশ্বাসের সংস্কৃতির কারণে অফিসাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, ঝুলে থাকে মামলা: CJI
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, দেশের অনেক হাইকোর্টেই লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে। যা আগামিদিনে জেলা আদালতেও শুরু করতে হবে। কারণ মানুষ প্রাথমিক জেলা আদালতে আসেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কমন সার্ভিস সেন্ট্রারের সঙ্গে ই-আদালত পরিষেবা মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। যাতে আমরা সাধারণ মানুষকে যে পরিষেবা প্রদান করি, সেটা ভারতের প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে যেতে পারে। অনেক হাইকোর্টে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে। আমাদের জেলা আদালতেরও লাইভ স্ট্রিম করতে হবে। কারণ সেটাই নাগরিকরা প্রথমে সেখানেই যান।’
আরও পড়ুন: HTLS 2022: ‘ওল্ড বয়েজ ক্লাব’, CJI চন্দ্রচূড়ের কথায় 'পুরুষতান্ত্রিক বিচারব্যবস্থা'
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় সুপ্রিম কোর্টে যে ভার্চুয়ালি শুনানি চলছিল, তা নিয়েও শনিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ নিজের মতামত জানান ভারতের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'মহামারীর সময় আমরা যখন ভিডিয়ো কনফারেন্সের সুবিধা চালু করেছিলাম, তখন অনেক মহিলা আইনজীবী উপস্থিত থাকতেন। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ফলে মহিলা আইনজীবীদের আরও কর্মদক্ষতা বাড়বে।'