গত ৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৩০ বছর বয়সী অপ্সরা নামের এক মহিলা। স্থানীয় এক মন্দিরে তাঁর যাতায়াত ছিল নিত্য। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অপ্সরার মৃতদেহ উদ্ধার হতেই ঘটনা ফাঁস হয়। অভিযোগ ওঠে, যে মন্দিরে ভক্ত হিসাবে অপ্সরা যেতেন, সেই মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বিবাহিত পুরোহিত এই সম্পর্ক লোকাতেই অপ্সরাকে খুন করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা হায়দরাবাদ থেকে অনতিদূরে শামসাবাদের। সেখানে সরুরনগরের মইস আম্মা মন্দিরে প্রায়ই যেতেন অপ্সরা। ভক্ত হিসাবে সেই মন্দিরে আরও চারপাঁচজনের মতো যেতেন অপ্সরা। সেই মন্দিরেরই পুরোহিত ছিলেন আয়াগারি বেঙ্কট সুরিয়া সাই কৃষ্ণা। অভিযোগ, ওই পুরোহিত অপ্সরাকে খুন করে তাঁর দেহ ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে দেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক। এদিকে, পুরোহিত আয়াগারি বেঙ্কট বিবাহিত। আর অপ্সরার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক লোকাতেই তিনি খুন করেন অপ্সরাকে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশি তদন্ত। ৩০ বছর বয়সী অপ্সরাকে অভিযুক্ত বেঙ্কট ৩ জুন খুন করে বলে অভিযোগ। একটি পাথর দিয়ে অপ্সরার মাথা তিনি থেঁতলে দেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। এদিকে, যাতে তাঁর ওপর থেকে সন্দেহ দূর হয়, তাই বেঙ্কট নিজেই পুলিশ স্টেশনে জান। তিনি পুলিশে ডায়ারি করিয়ে জানান যে, ৩ জুন অপ্সরাকে তিনি গন্তব্যে পৌঁছে দেন। তারপর থেকে অপ্সরা নিখোঁজ। শামশাবাদে তিনি অপ্সরাকে কোন জায়গায় নামিয়ে দিয়েছিলেন, সেই জায়গাটিও জানান পুরোহিত বেঙ্কট। এরপর দেখা যায়, ৪ জুন থেকে বন্ধ অপ্সরার ফোন। পুরোহিত জানান, অপ্সরা বন্ধুদের সঙ্গে ভদ্রচলমে যাচ্ছিলেন। পুলিশ নামে তদন্তে।
এরপর পুলিশ পুরোহিতকে জেরা করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে রহস্যের পর্দা উন্মোচিত হয়। অপ্সরার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে তাঁর কল ডেটা মিল খায়না। সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। বহু জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষে পুলিশের সামনে মুখ খোলেন পুরোহিত। পুরহিত এও জানান যে, তিনি অপ্সরাকে একটি জায়গায় খুন করে তাঁর দেহ ম্যানহোলে ফেলে আসেন। পুলিশ এমনই জানিয়েছে। এর পরেই পুলিশ পুরোহিতের কথা মতো বেঙ্কটেশ্বরা কলোনিতে যায়। সেখানের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় অপ্সরার দেহ। জানা যাচ্ছে, শমশাবাের নারখদা গ্রামে একটি ফাঁকা জায়গায় অপ্সরাকে নিয়ে গিয়ে পাথরে ঠুকে খুন করেছেন ওই পুরোহিত। এমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।