দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সাধারণ মানুষের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত। সোমবার তিন দিনের উত্তর প্রদেশ সফরে গিয়ে এই বার্তাই দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর মতে, কর দেওয়া দেশের প্রতিটি মানুষের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কর দেশের
সম্প্রতি স্পেশাল ট্রেনে করে দিল্লি থেকে কানপুরে যাওয়ার পথে ঝিনঝক স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন দাঁড়ায়। সেই রেলস্টেশনে রাষ্ট্রপতির জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনু্ষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জানান, ‘যদি ট্রেন একটি নির্দিষ্ট স্টেশনে না দাঁড়ায়, তখন আমরা অনেকসময় রাগের মাথায় ট্রেনটিকে জোর করে দাঁড় করিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলি। ট্রেনে যদি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তা কার ক্ষতি? মানুষ বলে, এটা তো সরকারি সন্পত্তি। করদাতাদের টাকায় এসব হয়। আমি এই কারণেই এই কথা উল্লেখ করছি, কারণ, এই কথা সবাই জানে যে সাধারণ মানুষের দেওয়া করের টাকাতেই দেশের উন্নয়ন হয়। রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমাকেও কর দিতে হয়। রাষ্ট্রপতি প্রতি মাসে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কর দেন। সরকারি ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ মাইনের অধিকারী হয়েও তাঁকে কিন্তু কর দিতে হয়। প্রত্যেকেই বলে যে আমি তো মাসে ৫ লাখ টাকা মাইনে পাই। কিন্তু আমাকেও কিন্তু কর দিতে হয়।’ একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি জানান, আমরা যে কর দিই, সেই টাকাই আসলে দেশের উন্নতির কাজে লাগে। যদি আমরা করের টাকা না দিই, তাহলে ক্ষতি কার হবে। তাহলে ক্ষতি হবে আমার, আপনার সবার।
এদিন নিজের আত্মজীবনের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি জানান, ‘আমি কোনও দিনও ভাবিনি যে একজন সাধারণ গ্রামের ছেলে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হতে পারবেন। আসলে আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামোই এমন যে এটা সম্ভব হয়েছে। আজ আমি যতটুকু করতে পেরেছি, তার পুরো কৃতিত্ব এই গ্রামের। এই গ্রামের মানু্ষের ভালবাসা ও আশির্বাদের জোরেই আজ আমি এখানে আসতে পেরেছি।’ উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের কানপুরের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।