Interim Budget 2024 Live Updates in Bengali: আজ, বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার শুধুমাত্র তিন মাসের জন্য বাজেট পেশ করবেন। তবে তারই মধ্যে সাধারণ মানুষের অনেক আশা প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট নিয়ে। বর্তমান সরকারের একাধিক সাফল্যের কথা আজকের বাজেটে তুলে ধরেন নির্মলা। তবে আয়ক সংক্রান্ত নতুন কোনও ঘোষণা এই বাজেটে করলেন না তিনি। এই আবহে বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কী কী ঘোষণা করা হল, তা জেনে নিন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এই ব্লগে।
একনজরে পুরনো আয়কর স্ল্যাব
- ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে কর থেকে অব্যাহতি পাবেন।
- ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
- ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
- ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর পুরানো ব্যবস্থায় ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
- ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যক্তিগত আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
একনজরে নতুন আয়কর স্ল্যাব
- ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর আরোপ করা হবে না।
- ৩-৬ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
- ৬-৯ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
- ৯-১২ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ে ১৫ শতাংশ হারে।
- ১২-১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয় ২০ শতাংশ হারে।
- ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
নতুন কাঠামোয় গতবছর কী কী সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা?
এর আগে ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে নতুন আয়কর নীতিই ডিফল্ট কর ব্যবস্থা হিসাবে চালু হয়েছে। করদাতারা যদিও চাইলে পুরনো কর নীতি বেছে নিতে পারবেন। নতুন কাঠমোয় বেতনভোগী এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ১৫.৫ লক্ষ টাকার বেশি করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেমে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল ৫২,৫০০ টাকা।
অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো
নতুন কর কাঠামোয় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর লাগবে না বলে জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থাৎ, এবার অপরিবর্তিতই থাকল আয়কর কাঠামো।
গড় আয় বৃদ্ধি নিয়ে নির্মলার দাবি
এদিকে দেশের মানুষের গড় আয় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আজ দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগ আসছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড় মোদী সরকার সাফল্যের সঙ্গে মূদ্রাস্ফীতিকে মোকাবিলা করেছে বলেও দাবি করেন নির্মলা।
রেল নিয়ে নির্মলা
ভারতীয় রেলের ৪০ হাজার সাধারণ বগিকে বন্দে ভারতের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে সব রুটেই ট্রেনের স্পিড বাড়ানো হবে বলে দাবি করেন তিনি।
আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় আনার ঘোষণা
আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় আনার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এদিকে নির্মলা ঘোষণা করেন, এবার থেকে ৯ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের সার্ভাইকাল ক্যানসারের টিকা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।
কৃষি খাতে কর্মসংস্থান এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন
নির্মলা আজ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনা ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এদিকে ৮৩ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে।
১ কোটি বাড়িতে সৌর প্যানেল
নির্মলা দাবি করেন, এক কোটি বাড়ির মাথায় সৌর প্যানেল বসানো হবে। মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ মিলবে। এর ফলে প্রতিবছর ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা করে বাঁচবে বিদ্যুতের বিল বাবদ।
স্কিল ইন্ডিয়া মিশনে ১.৪ কোটি যুবককে প্রশিক্ষণ
নির্মলা দাবি করেন, স্কিল ইন্ডিয়া মিশনে ১.৪ কোটি যুবককে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। ৩০০০টি নতুন আইটিআই প্রতিষ্ঠা করেছে। ৭টি আইআইটি, ১৬টি আইআইআইটি, ৭টি আইআইএম, ১৫টি এআইআইএমএস এবং ৩৯০টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে আমাদের সরকারের দ্বারা।
কয়েক মিনিটে শেয়ার সেনসেক্স পড়ল প্রায় ৪০০ পয়েন্ট
১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ৭২ হাজারের গণ্ডি পার করে সেনসেক্স। একটা সময়ে ৭২,০৯২ পয়েন্টে পৌঁছে যায় বম্বে শেয়ার বাজারের সূচক। সেখান থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেনসেক্স প্রায় ৪০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়ে ৭১,৭০৮ পয়েন্টে পৌঁছে যায়। লাইভ আপডেট দেখতে ক্লিক করুন এখানে
‘২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজ হচ্ছে’
মোদী সরকারের প্রশংসা করে নির্মলা বলেন, ‘গরিব কল্যাণের উপর জোর দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। আগে সামাজিক ন্যায় স্রেফ রাজনৈতিক স্লোগান ছিল।’
'ফোকাসে গরিব, মহিলা, যুব সমাজ'
নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘আমাদের ফোকাস করতে হবে - গরিব, মহিলা, যুব এবং অন্নদাতা কৃষকদের ওপরে; তাদের চাহিদা এবং আকাঙ্খা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
আয়করে বড় ছাড়ের দাবি উঠেছে
করদাতার করযোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে আগে ৩০ শতাংশ কর দিতে হত। গতবছর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। ওই আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করার দাবি উঠেছে।
সংসদ ভবনে নির্মলা
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে সংসদ ভবনে পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাজেটকে।
একনজরে বাজেট প্রত্যাশা
আজ সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর আগে সীতারামন নিজে দাবি করেছিলেন, এবারে বড় কোনও ঘোষণা হবে না। তাও আয়কর সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে মানুষে আশা প্রত্যাশা থেকেই যায়। এই আবহে দেখুন এবার কী কী বদল আসতে পারে - ক্লিক করুন এখানে
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ২৩-২৪ বর্ষে কতটা কম কর দিতে হয়?
বর্তমানে নয়া কর কাঠামোয় সবকটি স্ল্যাব তিন লাখের তফাতে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২২-২৩ এ মোট ৬টি কর স্ল্যাব ছিল। গতবছর তা কমে ৫টিতে পরিণত হয়। গতবছর থেকে ১২.৫ লাখ থেকে ১৫ লাখের মধ্যে আয় হলে ২৫ শতাংশের কর হার আর দিতে হচ্ছে না। এই স্ল্যাবে এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ ১৫ লাখ আয়ের উপর করের পরিমাণ ১.৯৫ লাখ থেকে কমে দাঁড়াল ১.৪৫৬ লাখ টাকা।
নয়া কর কাঠামোকে সরল করা হয় গত বাজেটে
২০২৩ সালের বাজেটে নয়া কর কাঠামোকে আরও সহজ করা হয়েছিল। এই কাঠামো অনুযায়ী করযোগ্য আয়ের নিম্নসীমা ২.৫ লাখ থেকে বেড়ে ৩ লাখ করা হয়েছিল। কর ছাড়ের জন্য আয়ের নিম্নসীমা ৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ।
প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের সীমা বৃদ্ধি
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের জন্য সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা ১৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল গতবছর। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হয়েছিল।
বিমার পলিসির নিয়মে বদল এসেছিল
৫ লক্ষ টাকার উপর বার্ষিক প্রিমিয়ামের জীবন বিমা পলিসি থেকে প্রাপ্ত আয় করযোগ্য করা হয়েছিল গতবছর। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হয়েছিল।
মান্থলি ইনকাম স্কিমে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা বৃদ্ধি
গতবছর মান্থলি ইনকাম স্কিমে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা একক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৪.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। যৌথ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা করা হয়।
২০২৩-এর ১ এপ্রিল থেকে ‘ডিফল্ট’ হয় নয়া কর ব্যবস্থা
১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে নতুন আয়কর নীতিই ডিফল্ট কর ব্যবস্থা হিসাবে চালু হয়েছে। করদাতারা যদিও চাইলে পুরনো কর নীতি বেছে নিতে পারবেন। বেতনভোগী এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ১৫.৫ লক্ষ টাকার বেশি করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেমে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল ৫২,৫০০ টাকা।
একনজরে পুরনো আয়কর স্ল্যাব
- ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে কর থেকে অব্যাহতি পাবেন।
- ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
- ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের উপর পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
- ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর পুরানো ব্যবস্থায় ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
- ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যক্তিগত আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
একনজরে নতুন আয়কর স্ল্যাব
- ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর আরোপ করা হবে না।
- ৩-৬ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
- ৬-৯ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
- ৯-১২ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ে ১৫ শতাংশ হারে।
- ১২-১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয় ২০ শতাংশ হারে।
- ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
'নীতি বদলে প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধি'
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সরকার ৬.৩৮ লাখ কোটি টাকা ঘরে তুলেছিল প্রত্যক্ষ কর থেকে। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৬.৬১ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রকের দাবি, এটা সম্ভব হয়েছে কারণ সরকার করদাতাদের সুবিধার্থে নীতি কার্যকর করেছে এবং প্রশাসন সঠিক ভাবে কাজ করেছে।
পাঁচ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিদের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইলের হার বৃদ্ধি
পাঁচ লাখ টাকার মোট আয় করা ব্যক্তিদের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইলের হার বৃদ্ধি করেছে। যেখানে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে বার্ষিক ৫ লাখ আয় করা ২.৬২ কোটি মানুষ আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছিলেন। সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সংখ্যাটা ৩২ শতাংশ বেড়ে ৩.৪৭ কোটি হয়েছে। এদিকে সরকার বলছে, বার্ষিক ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিদের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইলের হার আট বছরে বেড়েছে ২৯৫ শতাংশ। এবং ১০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিদের রিটার্ন ফাইলের হার বেড়েছে ২৯১ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছেন কতজন?
সরাকরি তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছেন ৭.৪১ কোটি মানুষ। এর মধ্যে থেকে ৫৩ লাখ মানুষ প্রথমবারের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছেন। এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় প্রথম ১ শতাংশের মধ্যে থাকা মানুষের আয় গত আট বছরে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এদিকে এই তালিকায় নীচের ২৫ শতাংশে থাকা মানুষের গড় আয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
‘বাড়ছে করদাতাদের সংখ্যা’
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ক্রমাগত বেড়েছে আয়কর রিটার্ন ফাইলের হার। এদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যেখানে করদাতা ছিলেন ৩.৩৬ কোটি মানুষ, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৬.৩৭ কোটি হয়েছে।
‘করদাতাদের গড় আয় ৫৬ শতাংশ বেড়েছে’
গতবছর অক্টোবরে প্রকাশিত এক সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, গত আট বছরে করদাতাদের গড় আয় ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৮ বছর আগে যেখানে করদাতাদের গড় আয় ছিল ৪.৫ লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ। এদিকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করা ব্যক্তিতদের সংখ্যা গত আট বছরে বেড়েছে ৯০ শতাংশ।
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে টিডিএস-এ বদল আসবে?
বাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতা যদি NRI হয়ে থাকেন, এবং সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হয়ে থাকে, তাহলে ক্রেতাকে ১ শতাংশ হারে টিডিএস জমা দিতে হত। মনে করা হচ্ছে, এবারে আরও সরল নিয়মে টিডিএস কার্যকর করা হতে পারে এই ক্ষেত্রে। এতে ক্রেতারা লাভবান হতে পারেন।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হতে পারে এবারে
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হতে পারে এবারে। এই অন্তর্বর্তী বাজেটেই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর, সরকার নতুন আয়কর ব্যবস্থাতেও এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন যুক্ত করে।
NPS-এ সামঞ্জস্য আসতে পারে
বর্তমান নিয়মে এক আর্থিকবর্ষে একজন কর্মী এনপিএস-এ যত টাকা রাখছেন, তার ওপর কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবী যদি সরকারি কর্মী হন, সেই ক্ষেত্রে তাঁর মোট বিনিয়োগ (করমুক্ত) বার্ষিক বেতনের ১৪ শতাংশ ছাড়াতে পারবে না। তবে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মী সরকারের চাকরি না করেন, তাহলে এনপিএস-এ বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ বিনিয়োগেই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই বাজেটে এই অসামঞ্জস্য মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বেসিক এক্সেম্পশনের লিমিট বাড়তে পারে বলে আশা
বেসিক এক্সেম্পশনের লিমিট বাড়তে পারে - মনে করা হচ্ছে বেসিক এক্সেম্পশন বা মৌলিক ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করা হতে পারে এই অন্তর্বর্তী বাজেটে। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন ও পুরনো, উভয় কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই এই ছাড় দেওয়া হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সীমা প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে করদাতাদের ওপর বোঝা কমতে পারে অনেকটাই।
গতবার কী বদল এসেছিল নয়া আয়কর ব্যবস্থায়?
নয়া আয়কর কাঠামোয় গতবছরের বাজেটে আয়করের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে সাত লাখ টাকা করা হয়। আগে যা পাঁচ লাখ টাকা ছিল। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ করের হার কমিয়ে আনা হয়েছিল।
কত শতাংশ হারে আয়কর ধার্য করা হয়?
নয়া আয়কর কাঠামোতে করযোগ্য আয় যদি শূন্য থেকে তিন লাখ টাকা হয়, তাহলে কোনও কর দিতে হয় না। এদিকে করযোগ্য আয় যদি ৩ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে পাঁচ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। করযোগ্য আয় যদি ৬ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে দশ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এদিকে আয়করযোগ্য আয় যদি নয় লাখ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে, তাহলে ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। করযোগ্য আয় যদি ১২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। করযোগ্য আয় যদি ১৫ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
কাকে কত কর দিতে হয়?
বর্তমানে বেতনভোগী কারও যদি ৯ লক্ষ টাকা রোজগার হয়, তাহলে তাঁকে ৪৫,০০০ টাকা কর দিতে হয়। এটি তাঁর মোট আয়ের ৫ শতাংশ। আগে ৬০,০০০ টাকা কর দিতে হত। সেক্ষেত্রেও ১৫,০০০ টাকা কমানো হল। যিনি ১৫ লক্ষ টাকা রোজগার করেন, তাঁকে ১.৫ লক্ষ টাকা এই কর হিসাবে দিতে হবে। এটি তাঁর আয়ের ১০ শতাংশ। আগের হিসাবে এটি দিতে হত ১, ৮৭,৫০০ টাকা।
গতবছর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়িয়েছিলেন নির্মলা
এর আগে বাজেট প্রস্তাবনায় কর কাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার পাশাপাশি নতুন কর কাঠামোতে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও পরিবর্তন করেছিলেন নির্মলা সীতারামন। নির্মলা বলেছিলেন, কোনও চাকুরিজীবীর বাৎসরিক আয় যদি ১৫ লাখ ৫০ হাজার বা তার বেশি হয়, তাহলে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫২,৫০০ টাকা হবে।
মৌলিক ছাড়ের সীমা বাড়তে পারে?
মনে করা হচ্ছে বেসিক এক্সেম্পশন বা মৌলিক ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করা হতে পারে এই অন্তর্বর্তী বাজেটে। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন ও পুরনো, উভয় কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই এই ছাড় দেওয়া হতে পারে।
কৌতুহলী দেশের করদাতারা
বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ৬.৩ শতাংশ আয়কর দিয়ে থাকেন। এই আবহে অন্তর্বর্তী বাজেটে সরকার কর কাঠামোয় কিছু ছাড় দেয় কি না, তা নিয়ে কৌতুহলী মধ্য়বিত্ত চাকুরিজীবী মহল।