প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সমস্যাগুলি আছে, সেগুলি দ্রুত সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। এমনই জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সামরিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ততদিন সীমান্তে যাতে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বজায় থাকে, সেই বিষয়ে ভারত এবং চিন একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। তবে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যে অবিলম্বে সীমান্তে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওয়েস্টার্ন সেক্টরে (পূর্ব লাদাখ সেক্টর) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে যে সমস্যাগুলি এখনও আছে; সেগুলি নিয়ে ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
এবার ভারতের দিকে চুশুল-মলডো সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে কোর-কমান্ডার পর্যায়ের যে বৈঠক হয়েছে, তা ১৯ তম বৈঠক ছিল। প্রায় তিন বছরে এই প্রথমবার দু'দিনের কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। দু'দিনের সেই বৈঠক শেষে মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু'দেশের দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ মতো চুশুল-মলডোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: India-China Border: চিনকে জবাব দিতে সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নে মন দিয়েছে ভারত, হিসেব দিলেন জয়শংকর
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘(প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর) যে সমস্যাগুলি আছে, তা দ্রুত সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা (ভারত এবং চিনের প্রতিনিধিরা)। এখন যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, সেই ধারা বজায় রেখে সামরিক এবং কূটনৈতিক মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেইসময়ের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত চলছে ভারত এবং চিনের। তারপর থেকে কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে এখনও পরিস্থিতির পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। চার দফায় গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো লেক, গোগরা (পিপি-১৭এ) এবং হটস্প্রিং (পিপি-১৫) থেকে ফৌজি সরিয়ে দিয়েছে ভারত এবং চিন। এখনও লাদাখ থিয়েটারে এখনও দু'দেশের কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করা আছে। মোতায়েন রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র।