নীতীশ কুমার শেষ পর্যন্ত এনডিএতে ভিড়ে যাবেন কি না তানিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে বিহারের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শনিবার এক তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতিতে জনতা দল (ইউনাইটেড) এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং মুখপাত্র কেসি ত্যাগী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে বারবার অপমান করার অভিযোগ করেছেন।
ত্যাগী দাবি করেছেন ইন্ডিয়া জোট ধ্বংসের কিনারায় রয়েছে।নীতীশ কুমার এমন কিছু দেখতে পাচ্ছেন না যে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি সর্বশক্তিমান বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
তিনি বলেন, ' ইন্ডিয়া জোট ধ্বংসের কিনারায় রয়েছে। পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলির জোট প্রায় শেষ। তাঁর কথায়... নীতীশ কুমার কখনও জোটে কোনও পদের জন্য আকুল হননি, কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ বারবার তাঁকে অপমান করেছেন।
ত্যাগী বলেন, জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে অ-কংগ্রেসি দলগুলিকে কংগ্রেসের সঙ্গে আনতে সফল হয়েছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে নীতীশকে ভুল বোঝানো হয়েছিল।
ইন্ডিয়া জোটের সমালোচনা করে ত্যাগী আরও বলেন যে নীতীশ কুমার পাটনায় বেশ কয়েকটি দলকে একত্রিত করতে সফল হয়েছিলেন তবে পুরো প্রক্রিয়াটি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসার পরেও ইন্ডিয়া জোট নেতৃত্ব এবং কর্মসূচি নিয়ে কোনও যৌথ বৈঠক করেনি।
বিহারের ক্ষমতাসীন 'মহাজোট' ছেড়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন নীতীশ কুমার।
যে জল্পনা ছড়়িয়েছে সেটা যদি সত্যি হয় তবে নীতীশ কুমার যদি এনডিএতে ফের চলে যান, তবে এটি গত দশকে চতুর্থ এবং এই মেয়াদে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হবে।
এর আগে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব রাজভবনে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান বলে খবর। এরপরই শাসক জোটের অন্দরেও সম্পর্কের টানাপোড়েনের লক্ষণ স্পষ্ট হয়েছিল।
এর পরেই পাটনায় অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে দু'জনের মধ্যে সেভাবে কোনও কথা হয়নি বলে খবর। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যাঁরা উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, কেন তাঁরা অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন। রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমার সিনহার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ চেয়ারে বসে জেডিইউ মন্ত্রী অশোক চৌধুরীকে দেখা যায়।
২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫, এনডিএ-র ৮২। সরকার গঠনের জন্য একটি দল বা জোট ১২২ জন আইনপ্রণেতার প্রয়োজন। আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের ১১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। ৭৯ জন বিধায়ক নিয়ে আরজেডি একক বৃহত্তম দল।