হংকং পরিস্থিতি নিয়ে এতদিন মুখ খোলেনি ভারত। এবার হংকংয়ের জন্য চিনের নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার করে কূটনৈতিকভাবে বেজিংকে প্যাঁচে ফেলার পথে হাঁটল নয়াদিল্লি।
বুধবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভারতের তরফে জানানো হয়, স্বশাসিত হংকংয়ে প্রচুর ভারতীয় বসবাস করেন। তাই হংকংয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাজীব কে চান্দের বলেন, ‘এই নয়া বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমরা একাধিক বিবৃতি শুনেছি। আমাদের আশা, উপযুক্ত পক্ষ (চিন) এই মতামত বিবেচনা করবে এবং সঠিকভাবে, গুরুত্বের সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে সেগুলির সমাধান করবে।’ তবে রাষ্ট্রসংঘেও চিনের নাম নেওয়ার পথে হাঁটেনি নয়াদিল্লি।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় ভারতের এই মন্তব্যে একেবারেই অবাক নয় আন্তর্জাতিক মহল। বরং হংকং নিয়ে এতদিন নীরবতা বজায় রাখায় ভারতের সমালোচনার মুখর হয়েছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কারণ এই চিনই রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যু বারবার উত্থাপন করে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
সূত্রের খবর, আমেরিকা প্রবলভাবে চাইছিল, হংকং নিয়ে ভারতের তরফে মুখ খোলা হোক। কারণ নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ফলে হংকংয়ের স্বাধীনতা দমিয়ে দেওয়া হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। মঙ্গলবারই ২৭ টি দেশ চিনকে নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিল। মুক্ত এবং স্বাধীন হংকংয়ের পক্ষে সওয়াল করে জাপানও। তারপর একমাত্র কোয়াড দেশ হিসেবে ভারতের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বর্বরতার পরে ৫৯ টি অ্যাপ বন্ধের জন্য আমেরিকা ভারতের পিঠ চাপড়ে দিনই হংকং নিয়ে মুখ খুলে চিনের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পথে হাঁটল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে খুশি হল আমেরিকাও। যা চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদে ভারতের অবস্থান মজবুত করবে বলে মত কূটনৈতিক মহলের।