রাহুল সিং
লাদাখ সেক্টরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধশালী করে তুলছে ভারত। তারইমধ্যে ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল বা সাঁজোয়া গাড়ি আরও উন্নত করার পথে হাঁটল সেনা। যা রাতের অন্ধকারেও লড়াইয়ের ক্ষমতা জোগাবে। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা সোমবার একথা জানিয়েছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বিএমপি-২/২কে ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেলের প্রোটোটাইপ তৈরি ও পরবর্তীতে তা কেনার জন্য দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে সেনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেলের মূল ভিত্তি তথা অস্ত্র ব্যবস্থা ‘আপাতত রাতকানা’। আর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে।
লাদাখ সেক্টরেও সেই ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল মোতায়েন করেছে সেনা। সঙ্গে রয়েছে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সমরাস্ত্র। যেখানে গত চারমাসের বেশি সময় ধরে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
বিষয়টি নিয়ে সেনার প্রাক্তন উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএস লাম্বা (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, ‘অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার থাকা বিএমপি-২/২কে দুর্দান্ত কমব্যাট প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে আরও প্রভাব সবথেকে ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য তাতে নাইট-ফাইটিং (রাতে যুদ্ধ করার) ক্ষমতা যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
সেনার মতে, বর্তমানে ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেলে যে সমরাস্ত্র দেখার ব্যবস্থা আছে, তা ‘ইমেজ ইন্টেসিফায়ার’ প্রযুক্তি-নির্ভর। তা আধুনিক সময়ের যুদ্ধের পক্ষে উপযোগী নয়। তাতে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। পরিরর্তে ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেলগুলিকে তৃতীয় প্রজন্মের ‘থার্মাল ইমেজার-বেসড গানার সাইট’, ‘থার্মাল ইমেজার-বেসড কমান্ডার সাইট', আধুনিক আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ‘অটোমেটিক টার্গেট ট্র্যাকার’ দিয়ে উন্নত করার পরিকল্পনা করছে সেনা।
আগামী ছ'সপ্তাহেরমধ্যে দরপত্রের সাড়া দিতে হবে। একাধিক পর্যায়ের প্রক্রিয়া যদি নিখুঁতভাবে পার হয়ে যায়, তাহলে দু'বছরের মধ্যে ট্রায়াল শুরু হতে পারে।