বিশ্বের সেরা ধনকুবেরদের তালিকায় থাকা টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জয়লাভ করলেন আমেরিকাবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্নাতক রণদীপ হোথি।
এর আগে দু’টি ঘটনায় মাস্কের নিশানায় পড়েছিলেন তাঁর কট্টর সমালোচক হোথি। এর প্রথমটি ফ্রিমন্টে টেসলা-র কারখানায় এক নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে বচসা এবং দ্বিতীয়টি তাঁকে অনুসরণ করা হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হোথির পোস্ট করা একটি টেসলা গাড়ির ছবি।
এশীয় ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ছাত্র হোথি প্রায়শই প্রকাশ্যে টেসলা-র সমালোচনা করে থাকেন। তাঁর বিশেষ আগ্রহের বিষয় হল বিশ্বে শিখ সম্প্রদায়ের স্থান ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিখদের আচরণ। টুইটার প্রোফাইলে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে হোধি বলেন, ‘কর্পোরেট প্রতারণা বিষয়ক অনুসন্ধানকারী বা সংবাদদাতা। বর্তমানে টেসলা সম্পর্কে উৎসাহী। সহ-পর্যটক, সংবাদদাতা, হুইসলব্লোয়ার ইত্যাদিরা স্বাগত।’
২০০৯ সালে বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন হোতি। তাঁর বাবা-মা থাকেন ফ্রিমন্টে, যেখানে মাস্কের টেসলা কারখানাও রয়েছে। এলন মাস্ক ও টেসলার আন্তর্জাতিক সমালোচক দলের সক্রিয় সদস্য হোথি প্রায়ই টুইটারে ধনকুবেরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং অনলাইন ট্রোলিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।
টুইটারে @skabooshka ছদ্মনামের আড়ালে মাস্ক ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেও ২০১৮ সালে হোথি ও তাঁর ভাইয়ের আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়। হোথির ভাই আবার টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্খা ফোক্সভাগেন-এর প্রাক্তন কর্মী।
২০১৯ সালে ফোক্সভাগেন-এর সঙ্গে হোথির ভাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে টুইট করেন মাস্ক। তার জেরে হোথি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কা দেখা দেয়। জবাবে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল টুইটারে হোথি লেখেন, ‘এ আমার অঙ্গীকার।টেসলা আদতে শূন্য ছাড়া কিছু নয়। এলন মাস্ক এবার জেলে যাবেন।’
মাস্কের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে মানহানির মামলা ঠোকেন হোথি। সম্প্রতি সেই মামলায় তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারক জুলিয়া স্পেন।