ভারতের ৭৩ টি প্রজাতির প্রাণী ভারতে আপাতত বিপন্ন প্রজাতির বলে গণ্য হচ্ছে। রাজ্য়সভায় একথা জানান, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। 'ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার’ শীর্ষক একটি রিপোর্টের নিরিখে তিনিে একথা জানান। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই তথ্য উঠে আসে।
যে ৭৩ টি প্রজাতির প্রাণীর কথা বলা হয়েছে, তারমধ্যে নয়টি স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাম উঠে এসেছে। এই তালিকায় রয়েছে ১৮ টি পাখি, ২৬ টি সরীসৃপ, ২০ টি উভচর। এই তথ্য আইইউসিএনের রিপোর্টে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, আইইউসিএনই ঘোষণা করে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যের নানান তথ্য। সেই সমস্ত প্রজাতিকেই ‘বিলুপ্তপ্রায়’ বলে বর্ণনা করা হয়, যখন ওই প্রাণীগুলির অস্তিত্বের ব্যাপক সংকট থাকে। উল্লেখ্য, বন্য় প্রাণীদের নিয়ে এই সমস্ত তথ্য পেশ করা হয়।
এর আগে ভারতের ৪৭ টি প্রজাতির প্রাণীকে অবলুপ্ত প্রায় বলে ঘোষণা করেছিল ওই প্রতিষ্ঠান। সেই সময়কাল ছিল ২০১১ সাল। এরপর তা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ টিতে। এই সংখ্যা নিঃসন্দেহে একটি বড় অঙ্ক। সেখানেও স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, মাছ, উভচর, পাখীদের তালিকা করা হয়েছিল। এই তথ্য় লোকসভা সূত্রে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের তরফে মুকুল ওয়াংসিক একটি প্রশ্ন করেন। মূলত, পশুপাখিদের রক্ষায় সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এরপরই যে সমস্ত বিপন্ন প্রজাতির পশুপ্রাণীর তালিকা সরকার পেশ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে, কাশ্মীর স্ট্যাগ বা হাঙ্গুল, মালাবার বড় দাগযুক্ত বনবিড়াল, আন্দামান শ্রু, জেনকিনস শ্রু, নিকোবর শ্রু, নামধাপা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, বড় ইঁদুর এবং লিফলেটেড লিফনোজড বাদুড়। যে বিপন্ন ১৮ টি পাখির প্রজাতির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা হল, বিয়ার্স পোচার্ড, সোশিয়েব্ল লাপউইং, গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড, লাল মাথার শকুন, সাদা শকুন, ভারতীয় শকুন সমেত একাধিক পাখি।
যে ২৬ টি সরীসৃপের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে পিট ভাইপার। এরা কার নিকোবর অঞ্চলেই কেবল ঘুরে বেড়ায়। যে সমস্ত উভচরের কথা বলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে, পশ্চিম ঘাট পর্বতমালা, উত্তর পূর্ব, আন্দামান নিকোবরে বসবাসকারী একাধিক প্রাণীর কথা। এরমধ্যে দত্তাত্রেয় ব্যাঙের মতো প্রাণীর নামও রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছে,ন, যে তথ্য সমূহ দেওয়া হয়েছে, তা ‘কানমিং মনট্রিয়াল বায়োডাইভারসিটি সামিট’-এ দেওয়া তথ্যের নিরিখে দেওয়া হয়েছে।