ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরা মস্কোয় সীমান্ত সমস্যা নিরসনে বৈঠক করেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার সকালে জানা গেল যে কিছুটা হলেও বরফ গলেছে, পাঁচ বিষয়ে একমত হয়েছেন জয়শংকর ও ওয়াং। কিন্তু নিজেদের আক্রমণাত্মক রণনীতি বদলাচ্ছে না কংগ্রেস। এদিন ফের সরকারের চিনা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
চিনা ইস্যুতেই প্রথম থেকে ফ্রন্টফুটে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। তাঁরা বারবার কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। দেশের এক সংকটের মুহূর্তে এই রণনীতি আদৌ ঠিক কিনা, সেই নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তাতে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসছেন না গান্ধীরা।
সেই কারণে খুব পরিকল্পনামাফিক রাহুল গান্ধী শুক্রবার টুইট করেন-
প্রসঙ্গত, জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে অক্ষমতার কথা জানিয়ে নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন যে করোনা মহামারী অ্যাক্ট অফ গড, একটা এমন ঘটনা যা আগের থেকে আঁচ করা সম্ভব নয়। তাই তার জেরে যে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে রাজ্যগুলির সেটা কেন্দ্রের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়, বলেই জানান তিনি।
তখন থেকে এই অ্যাক্ট অফ গড শব্দটি ব্যবহার করে মোদী সরকারকে বিঁধছে বিরোধীরা। এদিনও ফের রাহুল গান্ধী জিজ্ঞেস করলেন মোদী সরকারের আদৌ কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করার।
পূর্ব লাদাখে মে মাস থেকে চিন ও ভারতের দ্বৈরথ চলছে। এরমধ্যেই গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষেই প্রাণহানি হয়েছে। হাল আমলে ভারত প্যাংগংয়ের দক্ষিণে বিভিন্ন চুড়ো দখল করে নিয়েছে। গুলিও চলেছে সীমান্তে ৪৫ বছর পর। দুই পক্ষই লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্র জমা করেছে। সেই পরিস্থিতিতে জয়শংকর ও ওয়াং বৈঠকের পর আশা করা হচ্ছে পরিস্থিতি হয়তো একটু উন্নতি হতে পারে। তার মধ্যেই ফের রাজনীতি নিয়ে আনলেন রাহুল গান্ধী, ঠিক যেটার বিরোধিতা করেছিলে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা।