গোটা দেশ জুড়ে কার্যত আছড়ে পড়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এনিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছে কোভিড চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের আকাল। আর তারই ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে ঝাড়খন্ডে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার চিকিৎসার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও সেভাবে নেই। তবে কোভিড আক্রান্তদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে কিছু ওষুধের প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এমন বিশেষ ধরনের ওষুধ ক্রমেই অমিল হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে রবিবার চিঠি পাঠিয়েছেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইউনিয়ন ক্যাবিনেট মিনিস্টার ডিভি সদানন্দ গৌড়াকে লেখা চিঠিতে তিনি বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের ওষুধ আমদানি করার অনুমতি চেয়েছেন।
বাংলাদেশের একটি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার ওষুধ আনতে চাইছে ঝাড়খন্ড সরকার। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,' টিকাকরণের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু প্রচুর রোগীর নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করাও প্রয়োজন। কিন্তু কোভিড ১৯-এর চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ কিছুটা কার্যকরী। তবে ঝাড়খন্ডে সেই ওষুধের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি ভারতের বাজারেও সেই ওষুধ সেভাবে মিলছে না'।
সেকারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে সেই ওষুধের খোঁজ চলছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার Remdesivir জাতীয় ওষুধ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খন্ড সরকারও এই ওষুধ কিনতে ইচ্ছুক। এরপরই কেন্দ্রের কাছে ওই ওষুধ আমদানি করা ও ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন যাতে, সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের রাজ্যের কোভিড চিকিৎসার কাজে নিয়োগ করা যায়।