আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গোটা দেশ অপেক্ষা করছে অধীর অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ২২ জানুয়ারি আসছে দিন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, তিনি ঝান্ডেওয়ালান মন্দির থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি সেজন্য় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি জানিয়েছেন, ৫০০ বছর ধরে যে লড়াই চলছে তার ফলশ্রুতিতেই এই মন্দির। ২২ জানুয়ারির পরে তিনি পরিবার নিয়ে রামমন্দির দর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে একাধিক বিজেপি নেতৃত্বকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সমস্ত বিজেপি নেতারা যে দলে দলে রামমন্দিরে চলে আসবেন এমনটা নয়। বেশিরভাগ বিজেপি নেতাই তাঁদের নিজের জায়গায় থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে রামমন্দির দর্শন করবেন। তবে শুধু বিজেপি নেতাদের নয়, ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের কাছে এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসের কাছেও এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে তারা এই অনুষ্ঠানে যাবে না কারণ এই কর্মসূচিকে তারা আরএসএস- বিজেপির কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেছে।
তবে স্বঘোষিত গডম্যান তথা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত নিত্যানন্দ দাবি করেছেন তাঁকে নাকি রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন তাঁকে নেমন্তন্ন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানকে মিস করবেন না। মন্দিরের মূল অবতার হিসাবে রামচন্দ্রের পুজো করা হবে। গোটা বিশ্বকে তিনি আশীর্বাদ দেবেন। পোস্টে লেখা হয়েছে, ভগবান শ্রী নিত্য়ানন্দ পরমশিবম এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তাঁকে এই অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে ২২ জানুয়ারির পর থেকেই রামমন্দির দর্শনের জন্য় কার্যত ঢল নামতে পারে। বহু মানুষ আসতে পারেন রামমন্দিরে। লক্ষ্য একটাই রামলালাকে দর্শন। ভারতের তীর্থ মানচিত্রে যুক্ত হল অযোধ্য়ার নাম। ভারতের তীর্থ মানচিত্রে যুক্ত হল রামমন্দিরের নাম।