দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে তিন বছরের মেয়াদ ফুরিয়েছে কে কে বেনুগোপালের। কিন্তু তাঁকে আরও ১ বছর ওই পদে বহাল রাখতে চায় কেন্দ্র। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে মোদী সরকার। বার্ধক্যজনিত কারণে দেশের সর্বোচ্চ আইনি আধিকারিকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে এখনই অব্যাহতি দিতে রাজি হয়নি।
কে কে বেনুগোপাল দেশের ১৫ তম অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০১৭ সালের ১ জুলাই মুকুল রোহতগির পরিবর্তে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কে কে বেনুগোপাল। ফলে চলতি বছরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। যেহেতু তাঁর বয়স এখন ৯১, তাই এখন বয়সজনিত কারণে এবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান বেনুগোপাল। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে অবশ্য তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ করা হয়। শেষ পর্যন্ত আরও ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছেন কে কে বেনুগোপাল। এর আগে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রের হয়ে একাধিক সাংবিধানিক মামলার সওয়াল করেছেন বেনুগোপাল। একাধিক আদালতে ৩৭০ ধারা রদ ও কেন্দ্রের করোনা নীতি সহ একাধিক মামলায় কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। রাফাল ও আধার কার্ড সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করে আইনি লড়াই জিতেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভুটানের সংবিধান তৈরির জন্য রয়্যাল গভার্মেন্ট অফ ভুটানে অংশ নিয়েছিলেন কে কে বেনুগোপাল। এর আগে মোরারজি দেশাই সরকারের আমলে দেশে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পদে ছিলেন তিনি। ২ জি স্পেকট্রাম মামলায় সুপ্রিম কোর্টকে সহয়তা করেছিলেন বেনুগোপাল। এছাড়া বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণির হয়ে মামলা লড়েছিলেন তিনি।