সম্প্রতি পরপর দুটি মামলার ক্ষেত্রে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিলে যে মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী নাবালিকা মুসলিম মেয়েদের বৈধ। তবে এবার কর্ণাটক হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করল যে পকসো আইনের অধীনে নাবালিকা মুসলিম মেয়েদের বিয়ে অবৈধ। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পকসো যেহেতু একটি বিশেষ আইন তাই কোনও ব্যক্তিগত আইন সেটির ঊর্ধ্বে হতে পারে না।
উল্লেখ্য, নাবালিকা মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। সেই যুবক জামিনের আর্জি জানান হাই কোর্টে। সেই জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে হওয়া শুনানিতেই কর্ণাটক হাই কোর্ট জানায়, আইনত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর। বিচারপতি রাজেন্দ্র বাদামিকর জানান, যেহেতু বিবাহিত মেয়েটির বয়স ১৭ বছরের ওপর এবং কী হচ্ছে না হচ্ছে তা বোঝার ক্ষমতা রাখে, তাই মনে হয় এই বিবাহে তাঁর মত ছিল। এই আবহে এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় স্বামীকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট দু’টি পৃথক মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেয় যে মুসলিম তরুণীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও বয়ঃসন্ধিতে বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। এর মাঝেই উচ্চ আদালতের সেই রায়কে খতিয়ে দেখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, মুসলিমদের বাল্য বিবাহ নিয়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর জন্য ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আর রাজশেখর রাওকে নিযুক্ত করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই রায়ের প্রেক্ষিতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।